সকালে রাজধানীর ভাটারা থেকে গ্রেপ্তার হন আলোচিত টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন। কিন্তু দুপুরের মধ্যে আদালত তাকে জামিন দেন। ভাটারা থানার ওসি মো. রাকিবুল হাসান নিশ্চিত করেছেন, আদালতের ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে মামলাকারী লায়লা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মামুন গ্রেপ্তার হয়েছে, এটি সত্য। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা আমি নিশ্চিত নই। তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা চলছে।’
এর আগে, গত বছর জুনে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় লায়লা আক্তারের দায়ের করা ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হন মামুন। পরবর্তীতে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি খারিজ করে দেন।
লায়লা অভিযোগ করেন, মামুন সাইবার নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে অনলাইনে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর তথ্য প্রচার করেছেন। ১৩ জুলাই ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলম এই মামলার খারিজের আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের সহকারী জুয়েল মিয়া নিশ্চিত করেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হয়ে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ জারি হয়েছে। নতুন অধ্যাদেশে এই মামলার ধারা না থাকায় আদালত মামলাটি খারিজ করেছেন।’
প্রিন্স মামুন মূলত টিকটক ও লাইকি-তে নিজের তৈরি মিউজিক ভিডিও পোস্ট করে পরিচিতি পান। ধর্ষণ মামলায় অভিযোগ রয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মামুন লায়লার মাকে সঙ্গে নিয়ে তার বাসায় বসবাস শুরু করেন।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। বিয়ের বিষয়ে অনুরোধ করলে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করেন। সর্বশেষ গত বছরের ১৪ মার্চ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে বিয়ের কথা বললে তিনি খেপে যান ও গালাগাল করেন। মামুনের পরিবারকেও অভিযোগে জড়িয়ে রাখা হয়েছে।
ভাটারা থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার মামুনকে গ্রেপ্তার করে। মামুনের গ্রেপ্তারের সঙ্গে সম্পর্কিত বিস্তারিত এখনও উন্মুক্ত হয়নি, তবে আদালতের সিদ্ধান্তে তিনি জামিনে মুক্তি পান।