আমরা লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি জানি। কিন্তু এর পাতাও যে নানা উপকারে আসে, তা অনেকেই জানি না।
লেবুপাতা শুধু সুগন্ধই নয়, এতে আছে স্বাস্থ্যরক্ষার চমৎকার কিছু উপাদান। হজমশক্তি বাড়ানো থেকে শুরু করে মানসিক চাপ হ্রাস, এমনকি ওজন কমাতেও এটি কার্যকর।
চলুন জেনে নিই লেবুপাতার ৮টি অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা-
১. শক্তিশালী অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট: লেবুপাতায় থাকে ফ্ল্যাভোনয়েড, ফেনোলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন ‘সি’—যেগুলো শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। এসব উপাদান হৃদ্রোগ ও ক্যানসারের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
২. হজমশক্তি বাড়ায়: লেবুপাতার কিছু প্রাকৃতিক যৌগ হজমে সহায়তা করে। গ্যাস, পেট ফাঁপা ও বদহজমে লেবুপাতা বিশেষভাবে উপকারী। খাবারের পর এক কাপ লেবুপাতার চা খেলে হজমের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।
৩. প্রদাহ রোধে সহায়ক: লেবুপাতায় অ্যান্টি–ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে, যা শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আর্থ্রাইটিস বা ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি স্বস্তিদায়ক হতে পারে।
৪. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়: ভিটামিন সি’র ঘন ভাণ্ডার লেবুপাতা। এটি রক্তে শ্বেতকণিকা ও অ্যান্টিবডির উৎপাদন বাড়ায়, যা সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত লেবুপাতার চা খেলে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও সক্রিয় হয়।
৫. মানসিক চাপ কমায়: লেবুপাতার সুগন্ধ মনকে সতেজ করে, দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ কমায়। মানসিক চাপ ও অনিদ্রার ক্ষেত্রে এক কাপ উষ্ণ লেবুপাতার চা হতে পারে চমৎকার এক প্রাকৃতিক সহায়তা।
৬. শরীরকে ডিটক্স করে: লেবুপাতায় থাকা বিশেষ কিছু উপাদান লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং শরীর থেকে টক্সিন বা বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয়। এর ফলে শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় থাকে।
৭. ওজন কমাতে সাহায্য করে: লেবুপাতা ক্যালরিতে কম, আবার এতে আছে উচ্চমাত্রার ফাইবার। এটি পেট ভরা রাখে, ক্ষুধা কমায় এবং অপ্রয়োজনীয় খাওয়ার প্রবণতা রোধ করে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
৮. মুখের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করে: লেবুপাতা চিবালে বা এর রস দিয়ে কুলি করলে মুখের জীবাণু ধ্বংস হয়। এতে থাকে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান, যা দাঁতের মাড়ি ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সহায়ক।
লেবুপাতা খাবেন কীভাবে?
-লেবুপাতা চা হিসেবে পান করতে পারেন।
-সালাদে সুগন্ধি উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
-রান্নায় সুগন্ধ বাড়াতে পাতলা করে কুচিয়ে দিতে পারেন।
তবে অতিরিক্ত গ্রহণ না করে পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো। যাদের লেবু বা সাইট্রাসে অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতা প্রয়োজন।
আপনার মতামত লিখুন :