ফ্যাশন ডিজাইনিং আধুনিক যুগের অন্যতম সৃজনশীল ও সম্ভাবনাময় একটি পেশা। বর্তমানে পোশাক শুধু দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর উপকরণ নয়; এটি মানুষের রুচি, ব্যক্তিত্ব এবং সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি। ফ্যাশন ডিজাইনাররা তাদের সৃজনশীলতার মাধ্যমে এ প্রতিচ্ছবিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলেন। তবে, এ পেশায় সফল হতে হলে সৃজনশীলতার পাশাপাশি কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য এবং বাজার চাহিদার প্রতি গভীর অনুধাবন প্রয়োজন।
তাসমিত আফিয়াত আর্নি একজন প্রতিশ্রুতিশীল ফ্যাশন ডিজাইনার। তিনি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ফ্যাশন ডিজাইনিং কেবল একটি পেশা নয়, এটি শিল্পকলার একটি অংশ। তার ভাষায়, ‘ফ্যাশন আমার কাছে কখনোই আলাদা কিছু মনে হয় না। এটি আর্টের মধ্যেই অবস্থান করে। এখানে সৃজনশীলভাবে কাজ করার অপার সুযোগ রয়েছে। আর যদি কারও মধ্যে সৃজনশীলতাকে কাজে লাগানোর প্রবল ইচ্ছা থাকে, তবে এ পেশায় সে ভালো ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে আসার আগে নিজেকে বুঝতে হবে। যদি কেউ বুঝতে পারে, সে কাজটি নিয়ে সত্যিই উৎসাহী এবং এই ক্ষেত্রে দক্ষতা দেখাতে পারবে, তবেই তার এ পেশায় আসা উচিত। অন্যদিকে, যদি মনে হয় অন্য কোনো পেশায়, সে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে বা ভালো করবে, তবে সেই দিকেই মনোযোগ দেওয়া উচিত।’
ফ্যাশন ডিজাইনিং এমন একটি পেশা যেখানে সৃজনশীলতাকে বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা যায়। এ পেশায় ভালো করলে যেমন আর্থিক সাফল্য আসে, তেমনি আত্মতৃপ্তির জায়গাটিও বিশাল। যারা পোশাক, স্টাইল এবং নান্দনিকতার প্রতি গভীর আগ্রহ অনুভব করেন, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ ক্যারিয়ার। এ শিল্পে যারা স্বপ্ন দেখেন, তাদের জন্য সাফল্যের দিগন্ত উন্মুক্ত।
আপনার মতামত লিখুন :