ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫

দুই বেলা ভাত খেলে হতে পারে ভয়ংকর রোগ!

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৫, ১২:০৮ পিএম
ভাত। ছবি- সংগৃহীত

ভাতের প্রতি রয়েছে বাঙালির অন্যরকম ভালোবাসা। যত বাহারি খাবারই খাওয়া হোক না কেন, দিনশেষে ভাত মুখে তুলেই যেন শান্তি। এই খাবারটি মনে ও পেটে তৃপ্তি এনে দেয়। তবে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষরা আজকাল ভাত বিমুখী হচ্ছেন। তবে এক গবেষণা বলছে, দুবেলা ভাত খাওয়ার কারণে বেড়ে যাচ্ছে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিসহ বেশকিছু রোগ। 

ভবধারিনি বালাজি অব দ্য পপুলেশন হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউট, কানাডার হ্যামিলটন হেলথ সায়েন্স ও ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এক গবেষণায় যুক্ত হন। তাদের গবেষণা থেকে উঠে আসা তথ্যগুলো চলতি মাসে ডায়াবেটিক কেয়ার নামক আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

সেখানে গবেষকরা দেখাচ্ছেন, সাদা চাল মিলে ছাঁটা হয়। এজন্য চালের চাকচিক্য বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও।

পুষ্টির অভাব: বেশি পরিমাণে সাদা ভাত খেলে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার (যেমন শাকসবজি, প্রোটিন) কম খাওয়া হতে পারে। ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের অভাব হতে পারে।

আর্সেনিক দূষণ: সাদা বা পলিশড চালের মধ্যে আর্সেনিকের উপস্থিতি থাকতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। বিশেষ করে ধানের মাধ্যমে আর্সেনিক জমা হতে পারে, যা ভাতের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। এটি ক্যানসার, হৃদরোগ এবং চর্মরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি: অতিরিক্ত সাদা ভাত খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়াতে পারে, কারণ এর গ্লাইসেমিক সূচক বেশি। এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

ওজন বৃদ্ধি: ভাতের কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকায় অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে। এটি স্থূলতা এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত রোগগুলোর ঝুঁকি বাড়ায়।

ক্যাডমিয়াম ও ভারী ধাতু দূষণ: কিছু ক্ষেত্রে ভাতে ক্যাডমিয়াম ও ভারী ধাতুর দূষণ পাওয়া যেতে পারে, যা কিডনি এবং লিভারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, অতিরিক্ত ভাত খেলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা ১১ শতাংশ বেড়ে যায়। এবারের গবেষণা প্রমাণ করে, দক্ষিণ এশিয়ার মানুষেরা জিনগতভাবেই ডায়াবেটিসপ্রবণ, আর খাদ্যাভ্যাসই তার মূল কারণ।