নানা সময় আমরা শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুগি। কিন্তু তা উপেক্ষা করি বা নিজে থেকেই চিকিৎসা করতে চেষ্টা করি। কখনো কখনো এটি দীর্ঘ ক্ষতির কারণ হয়। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মতে, অসুস্থতার কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তার দেখানো উচিত।
সঠিক সময়ে ডাক্তার দেখানো গেলে অকাল মৃত্যু বা দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। বিশেষ করে, হার্টের রোগ, ক্যানসার, বা ডায়াবেটিসের মতো রোগগুলো যদি প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করা যায়, তবে তার চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা সম্ভব। এছাড়া যেকোনো রোগ শুরু হওয়ার পরপরই চিকিৎসা করা গেছে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
তাই কোন কোন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত সে বিষয় নিয়ে আজকের আলোচনা।
তীব্র ব্যথা
শরীরের কোনো স্থানে হঠাৎ তীব্র ব্যথা অনুভব করলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে বুকে ব্যথা, মাথাব্যথা, কোমরের ব্যথা এগুলো অনেকসময় গুরুতর রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। তবে সাধারণত ছোটখাটো চোট পেয়ে কোথাও ব্যথা অনুভূত হলে ভয়ের কিছু নেই।
অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ
শরীরের কোনো স্থান থেকে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। মলদ্বার থেকে রক্ত বের হওয়া বা মেয়েদের মাসিকের অতিরিক্ত রক্তপাত এটা সাধারণ সমস্যা হতে পারে, তবে অনেকসময় এগুলো বড় কোনো রোগেরও লক্ষণ হতে পারে। তাই এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
উচ্চ তাপমাত্রা
প্রায় সময়ই আমরা উচ্চ তাপমাত্রায় (জ্বরে) ভুগি। সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা ৯৭ থেকে ৯৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকে। তবে, এটা যদি ১০০ এর উপরে চলে যায় এবং একাধিক দিন ধরে থাকে, তাহলে দ্রুত ডাক্তার দেখানো ভালো। এটি সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি না হয়ে অন্য কোনো সংক্রমণও হতে পারে।
স্বাভাবিক চলাচলে ব্যাঘাত ঘটলে
যদি আপনার চলাফেরা বা দৈনন্দিন কাজকর্মে কোনো ধরনের সমস্যা অনুভব করেন, যেমন দুর্বলতা, চোখে কম দেখা, তীব্র ক্লান্তি ইত্যাদি তখন দ্রুত ডাক্তার দেখানো উচিত।
শ্বাসকষ্ট
শ্বাসকষ্ট অনুভূতি হলে, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন। কেননা এটি হাঁপানি, হৃদরোগ বা অন্যান্য গুরুতর শারীরিক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
নতুন কোনো উপসর্গ
অনেকসময় আমাদের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দেয় যা আগে কখনো হয়নি। এমন কোনো উপসর্গ শরীরে লক্ষ করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রোগটি শনাক্ত করে চিকিৎসা করা উচিত।