বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় শুধু চাকরির আয়ে আর জীবনযাত্রার চাহিদা পূরণ করা অনেকের পক্ষেই কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই অনেকেই চাকরির পাশাপাশি ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন। এই প্রবণতা দিন দিন বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজ এবং শহরাঞ্চলের কর্মজীবীদের মধ্যে এই উদ্যোগের প্রবাহ চোখে পড়ার মতো।
চাকরির পাশাপাশি কোন ধরণের ব্যবসা করা যায়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ছোট পরিসরে এবং কম সময় নিয়েই অনেক ধরনের ব্যবসা শুরু করা যায়, যা চাকরির পাশাপাশি সহজে পরিচালনা করা সম্ভব। নিচে কিছু জনপ্রিয় উদাহরণ তুলে ধরা হলো:
ফ্রিল্যান্সিং: যারা লেখালেখি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং কিংবা অনলাইন টিউটরিং-এ দক্ষ, তারা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভালো আয় করতে পারেন।
অনলাইন ব্যবসা: বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পোশাক, জুতা, কসমেটিকস, হ্যান্ডিক্রাফট বা হোমমেড খাবার বিক্রি করা খুবই সহজ। অনেকেই ঘরে বসে অনলাইন দোকান খুলে আয় করছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে অনেকেই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা ইউটিউবের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির প্রমোশন বা নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করছেন।
কন্টেন্ট রাইটিং বা ব্লগিং: ভালো লিখতে পারলে ব্লগ বা ওয়েবসাইটে লেখার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন, স্পন্সরশিপ কিংবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।
ড্রপশিপিং: কোনো পণ্য স্টক ছাড়াই, বিদেশি বা দেশীয় ভেন্ডরের পণ্য অনলাইনে বিক্রি করে সহজেই লাভ করা সম্ভব।
খাবার ডেলিভারি: যারা রান্নায় দক্ষ, তারা ঘরে বসেই হোমমেড খাবার প্রস্তুত করে লোকাল ডেলিভারি বা অনলাইন ফুড প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন।
অনলাইন টিউশন: শিক্ষা খাতে অবদান রেখে অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ের কোচিং বা টিউশন করানো খুবই লাভজনক হতে পারে।
ছোটখাটো সার্ভিস ব্যবসা: মোবাইল সার্ভিসিং, ইলেকট্রনিক্স সার্ভিসিং, ঘর-গৃহস্থালির জিনিসপত্র মেরামতের কাজও সময় ও সামর্থ্য অনুযায়ী করা সম্ভব।
ব্যবসা ও চাকরি একসাথে করতে চাইলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সময় ব্যবস্থাপনা। অল্প সময়ে বেশি আয় করতে হলে সঠিক পরিকল্পনা, দক্ষতা উন্নয়ন ও ধৈর্য খুব প্রয়োজন। এ ছাড়া, ব্যবসার শুরুর দিকে ঝুঁকি কমানোর জন্য ছোট পরিসর থেকে শুরু করাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করেন অভিজ্ঞ উদ্যোক্তারা।
আপনার মতামত লিখুন :