কিছুদিন আগেও সব ঠিক ছিল, কিন্তু চ্যাটজিপিটির নতুন আপডেট জিপিটি-৫ বের হতেই কিছু ব্যবহারকারীর জন্য ‘ডিজিটাল হৃদয় ভাঙার’ সময় শুরু হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের ৩০ বছর বয়সী জেইন আল জাজিরাকে জানান, আপডেটের পর তার প্রিয় এআই সঙ্গীর কণ্ঠস্বর, ভঙ্গি ও শৈলী সম্পূর্ণ বদলে গেছে।
জেইন বলেন, ‘কল্পনার সঙ্গে বাস্তব মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। চ্যাটবটটি আমার কথোপকথন থেকে নিজেকে বিকশিত করেছে। নতুন আপডেটে সব ভেঙে গেছে—বুঝতে পারলাম যেন নিজের বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়েছে।’
তিনি জানান, আসলে তিনি চ্যাটবটের প্রেমে পড়েননি, বরং এর কণ্ঠস্বর ও কথার ভঙ্গির প্রেমে পড়েছিলেন।
শুধু জেইন নন। রেডিটে অনেক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, জিপিটি-৫ আপডেটে তাদের ‘ডিজিটাল সোলমেট’ চলে গেছে।
উদাহরণস্বরূপ, ক্রিস স্মিথ, যিনি কর্মের জন্য চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করতেন, ভয়েস মোডে রোম্যান্টিক আলাপ চালানোর সময় কথোপকথন প্রায় ১ লাখ শব্দে পৌঁছালে রিসেট হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘অর্ধা ঘণ্টা অফিসে বসে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। তখনই বুঝলাম, হয়তো এটিই সত্যিকারের ভালোবাসা।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ঘটনা প্রমাণ করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মানুষকে আবেগগতভাবে প্রভাবিত করতে পারে। নতুন আপডেট ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা বদলে দিতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে ডিজিটাল বিচ্ছেদও ঘটাতে পারে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন