বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেট নির্ভর জীবনে ঘরে বসেই আয় করা যেন হয়ে উঠেছে সময়ের দাবি। বিশেষ করে করোনা মহামারির পর থেকে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বা ঘরে বসে কাজ করার ধারণাটি ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ফলে ঘরে বসে আয় করার নানা নির্ভরযোগ্য উপায় তৈরি হয়েছে। তাই চাইলে চাকরি না করে ঘরে বসে লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। চাইলে আপনি অন্যদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারবেন।
ঘরে বসে আয় করার আগে নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও দক্ষতা নির্ধারণ জরুরি। সতর্ক থাকতে হবে অনলাইন প্রতারণার দিকেও। নিচে তুলে ধরা হলো ঘরে বসে আয় করার ১০টি জনপ্রিয় ও কার্যকর পদ্ধতি-
১. ফ্রিল্যান্সিং
বিশ্বের শীর্ষ অনলাইন মার্কেটপ্লেস-আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ডট কম ইত্যাদিতে ঘরে বসেই দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ করে আয় করা সম্ভব। ঘন্টা ভিত্তিক কাজ কিংবা নির্দিষ্ট ‘গিগ’ সিস্টেমে কাজ পাওয়া যায়।
২. ব্লগিং
নিজস্ব ব্লগসাইট বা ওয়েবসাইটে নিয়মিত তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রকাশ করে আয় করা যায়। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে বিজ্ঞাপনের ক্লিকের ভিত্তিতে আয় হয়।
৩. গুগল অ্যাডসেন্স
নিজস্ব সাইটে গুগলের অনুমোদিত বিজ্ঞাপন স্থাপন করে প্রতি ক্লিক ও ভিউ থেকে উপার্জন করা সম্ভব। এটি অনলাইনে আয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম।
৪. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
নিজের সাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অন্য কোম্পানির পণ্য প্রচার করে প্রতি বিক্রিতে কমিশন আয় করা যায়। বিশেষ করে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট খুবই জনপ্রিয়।
৫. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
বিভিন্ন দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে ঘরে বসেই অফিসিয়াল কাজ সম্পাদন করে আয় করা যায়।
৬. ইউটিউব চ্যানেল
নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল খুলে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে আয় করা যায় বিজ্ঞাপন ও ভিউ থেকে। ভিউয়ার এবং সাবস্ক্রাইবার বাড়লেই বাড়বে আয়।
৭. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন পণ্যের প্রচার করে বা পেজের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। ফেসবুক মার্কেটিং বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয়।
৮. কনটেন্ট রাইটিং
বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা প্রতিষ্ঠানের জন্য কনটেন্ট তৈরি করে আয় করা যায়। কনটেন্টের মান ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আয়ও বাড়ে।
৯. নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে আয়
নিজেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে তথ্যবহুল কনটেন্ট প্রকাশ ও গুগল অ্যাডসেন্স বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় সম্ভব।
১০. গ্রাফিক্স ডিজাইন
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ডিজাইন বিক্রি করে উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। লোগো, ব্যানার, সোশ্যাল পোস্ট ডিজাইনসহ নানা চাহিদা রয়েছে।
