বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৪, ০৬:৫০ পিএম

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা

সাক্ষ্য-আইন, কোনো দিক থেকেই মামলাটি প্রমাণিত হয়নি: এস এম শাহজাহান

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৪, ০৬:৫০ পিএম

সাক্ষ্য-আইন, কোনো দিক থেকেই মামলাটি প্রমাণিত হয়নি: এস এম শাহজাহান

ফাইল ছবি

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দণ্ডপ্রাপ্ত নেতারা। মামলাটির বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, মামলার বিচার অবৈধ ছিল।

আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) এ মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) ও আপিলের ওপর শুনানিতে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

মামলার রায়ের পর আসামি পক্ষের আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেছেন, ‘যে বেঞ্চের কাছে এই মামলাটি নিষ্পত্তি হলো, তাঁদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।’

আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, ‘সাক্ষ্য এবং আইন, কোনো দিক থেকেই মামলাটি প্রমাণিত হয়নি। আদালত আজকে রায়ে উল্লেখ করেছেন, এই মামলার যে কনফেশনাল স্টেটমেন্ট, তার ওপর ভিত্তি করে অন্য আসামিকে সাজা দেওয়া যায় না। এবং একজনের কনফেশনাল স্টেটমেন্টের ওপর ভিত্তি করে কখনও ১২০-বি প্যানাল কোড অর্থাৎ ক্রিমিনাল কন্সপিরেসি যেটা সেটা প্রমাণ করা যায় না।’

শাহজাহান বলেন, ‘মুফতি হান্নানের প্রথম কনফেশনের ওপর ভিত্তি করে প্রথম চার্জশিট। এই চার্জশিটেও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল, আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে হান্নানের স্বীকারোক্তি ছাড়া আর কোনো প্রমাণ পাননি। দ্বিতীয় চার্জশিট যেটা, সেখানেও এই স্বীকারোক্তি ছাড়া আর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মুফতি হান্নান বেঁচে থাকতে তাঁর দুটো স্বীকারোক্তি রিক্ট্রাক্ট করে গেছেন। কাজেই রিট্রাক্টেড কোনো কনফেশনের ওপর ভিত্তি করে কোনো আসামিকে সাজা দেওয়া যায় না।’

দ্বিতীয় চার্জশিট নিয়ে তিনি বলেন, ‘আদালত বলেছেন, দ্বিতীয় চার্জশিটটা পুরোপুরি অবৈধ। কারণ দ্বিতীয় চার্জশিটের প্রভিশন আমাদের আইনে যেটা আছে, অফিসার ইনচার্জ যদি নতুন করে কোনো প্রমাণ পায় তাহলে তিনি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিতে পারেন। কিন্তু এখানে দেখা গেছে, দ্বিতীয় চার্জশিটটা আসছে একজন সরকারি কৌঁসুলি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। পরে যখন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আবার নতুন করে তদন্তের জন্য পাঠালেন অর্থাৎ দ্বিতীয় চার্জশিট আসার পরে সেটা কোনো ম্যাজিস্ট্রেট এটাকে গ্রহণ করেননি। সরাসরি এটা মেট্রো সেশনে পাঠিয়েছে, তিনি ১৯৩-তে আমলে নিয়েছেন।’

‘আদালত বলেছেন, যদিও দ্বিতীয় চার্জশিট এসেছে। তবে আমরা তা আমলে নিতে পারছি না কারণ, এই মামলায় দ্বিতীয় চার্জশিটের সময় ১৯১-বি এটা মানা হয়নি।’

২০০৪ সালে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৩০০ মানুষ।

আরবি/ এইচএম

Link copied!