বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৫, ০৩:০৪ পিএম

হাসিনার নতুন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমিনুল

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৫, ০৩:০৪ পিএম

শেখ হাসিনা। ছবি- সংগৃহীত

শেখ হাসিনা। ছবি- সংগৃহীত

নৈতিকতার প্রশ্ন ওঠায় আদালত অবমাননার মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমিনুল গনি টিটোর  নিয়োগ বাতিল করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে রাষ্ট্রনিযুক্ত নতুন আইনজীবী হিসেবে আমির হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।  

বুধবার (২৫ জুন) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ সিদ্ধান্ত নেন।

মামলার অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে আগামী বুধবার লিখিত বক্তব্য জমা দিতে বলেছেন ট্রাইব্যুনাল। 

এর আগে, গত ১৯ জুন আদালত অবমাননার মামলায় শেখ হাসিনা ও গাইবান্ধার সাবেক এক আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত (স্টেট ডিফেন্স) আইনজীবী আমিনুল গনি টিটোকে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে ২৫ জুন ট্রাইব্যুনালে পলাতক আসামিদের পক্ষে বক্তব্য শোনার জন্য দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রশ্ন উঠে। 

এতে বলা হয়, গত বছর ৫ আগস্ট সকালে শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন আমিনুল গনি টিটো। এরই ধারাবাহিকতায় আজ যথারীতি ট্রাইব্যুনালে আসেন আমিনুল গনি টিটো ও অ্যামিকাস কিউরি এ ওয়াই মশিউজ্জামান। অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে এ ওয়াই মশিউজ্জামান বক্তব্য দিতে প্রস্তুতির জন্য ট্রাইব্যুনাল এর কাছে দুই সপ্তাহের সময় চান। এ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল এক সপ্তাহের সময় মঞ্জুর করে।

এরপর স্টেট ডিফেন্স হিসেবে আমিনুল গনি টিটোর বক্তব্য শোনেন ট্রাইব্যুনাল। বক্তব্য শুরুতেই আমিনুল গনি টিটো বলেন, ৩৬ বছর আইন পেশার জীবনে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় সম্মানিত বোধ করছেন তিনি। এ মামলায় স্টেট ডিফেন্স হিসেবে আসামির পক্ষে আইনগতভাবে লড়াই করতে তিনি সার্বিকভাবে প্রস্তুত রয়েছেন। এ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল তার কাছে জানতে চান, আসামি শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো ধরনের স্ট্যাটাস দিয়েছেন কি না।

জবাবে আইনজীবী টিটো বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে আমি একজন পেশাদার আইনজীবী হিসেবে আসামিদের পক্ষে আইনগতভাবে লড়তে চাই। 

এ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট থাকায় এখন আর আপনি এ মামলায় স্টেট ডিফেন্স হিসেবে থাকতে পারেন না। এখানে ন্যায় বিচারের প্রশ্নে নৈতিকতা জড়িত। পরে তার নিয়োগ বাতিল করেন ট্রাইব্যুনাল। 

আদেশের পর বেরিয়ে আমিনুল গনি টিটো বলেন, আমাকে স্টেট ডিফেন্স থেকে সরিয়ে দেওয়ায় কিছুটা অসম্মানিত বোধ করছি। আমার সঙ্গে কথা বলে নিয়োগ দেওয়া উচিত ছিল বলে দাবি করেন তিনি। 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!