ঢাকা শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

‘আপনি আজ কাঁদলেন কেন’ প্রশ্নে নীরব পলক

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৫, ১১:২২ পিএম
জুনাইদ আহ্‌মেদ পলককে। ছবি- সংগৃহীত

যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলককে।

বুধবার (৯ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হলে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

আদালত ভবনের বারান্দার দিকে তাকিয়ে পলক ইশারায় একজন স্বজনের সঙ্গে কথাও বলার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ পর তিনি চোখের পানি মুছতে থাকেন এবং মাথা নিচু করে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকেন।

একজন সাংবাদিক যখন জিজ্ঞাসা করেন, ‘পলক ভাই, আপনি আজ কাঁদলেন কেন?’ তখন তিনি কোনো জবাব না দিয়ে নিশ্চুপ থাকেন।

এই একই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকেও একইদিনে আদালতে হাজির করা হয়।

সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে কাঠগড়ায় প্রথমে আসেন সালমান ও আনিসুল। সাত মিনিট পর যোগ দেন দীপু মনি। বিচারক এজলাসে ওঠার আগেই তাদের মধ্যে কুশল বিনিময় হয়। এরপর সবাইকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানায় পুলিশ।

আদালতে শুনানি শেষে তাদের মাথায় হেলমেট পরিয়ে ও হাতকড়া পরিয়ে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সালমানের পেছনে থাকা এক ব্যক্তি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে লক্ষ্য করে কটূক্তিও করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা বর্তমানে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের চম্পাকলি ভবনে আছেন। একই ভবনে আছেন আরও কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, যেমন: আবদুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, আতিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, মহিবুল হক ও নজিবুর রহমান।

তাদের প্রত্যেকের জন্য বরাদ্দ রয়েছে পৃথক কক্ষ, প্রথম শ্রেণির বন্দী মর্যাদা এবং পত্রিকা ও ধর্মীয় গ্রন্থ পড়ার সুযোগ।

আনিসুল হকের আইনজীবী জানান, তার মক্কেলের নিকটাত্মীয় দেশে না থাকায় তিনিই নিয়মিত কারাগারে সাক্ষাৎ করেন। সালমানের আইনজীবীও জানান, সালমান কারাগারে পত্রিকা ও ধর্মীয় গ্রন্থ পড়েই সময় কাটান।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির ৬০ জন কারাবন্দী চম্পাকলি ভবনে থাকেন। তারা সাধারণ বন্দীদের সঙ্গে মেশার সুযোগ পান না। তবে পরস্পরের সঙ্গে দেখা হয়। প্রতি ১৫ দিনে একবার নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন।’

তিনি আরও জানান, ‘প্রথম শ্রেণির বন্দীদের জন্য আলাদা খাবার, যেমন—মাছ-মাংস বরাদ্দ থাকে এবং উৎসবেও বিশেষ খাবার সরবরাহ করা হয়।’