চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা গুলশান থানার এক মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ।
রোববার (৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে তিনি এ জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান আদালতে আবেদন করলে তা গ্রহণ করে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
এদিন মামলার অন্যান্য তিন আসামি ‘বৈষম্যবিরোধীর’ ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক মো. ইব্রাহিম হোসেন, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম এবং সাদমান সাদাবকে আদালতে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান। সংগঠন থেকেও তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ মামলায় আরও এক আসামি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু বর্তমানে চার দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। এর আগে ২৭ জুলাই মামলার পাঁচ আসামির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এদের মধ্যে আইনের সংঘাতে জড়িত এক শিশু মো. আমিনুল ইসলামকে পাঠানো হয় গাজীপুর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ১৭ জুলাই সকাল ১০টার দিকে আসামি রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু গুলশান ৮৩ নম্বর রোডের একটি বাসায় গিয়ে সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য শাম্মি আহমেদের স্বজনদের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। দাবিকৃত অর্থ না দিলে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। পরে ভুক্তভোগী সিদ্দিক আবু জাফর মোট ১০ লাখ টাকা দিতে বাধ্য হন।
এরপর ১৯ জুলাই ও ২৬ জুলাই আবারও আসামিরা বাড়িতে গিয়ে বাকি ৪০ লাখ টাকা দাবি করেন এবং হুমকি অব্যাহত রাখেন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনকে আটক করে। ওই সময় এজাহারভুক্ত আসামি কাজী গৌরব অপু পালিয়ে যান।
আপনার মতামত লিখুন :