বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৫, ০১:৪৫ পিএম

সাঈদী ভালো মানুষ ছিলেন, তাই জানাজায় গিয়েছিলাম: সুখরঞ্জন বালি

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৫, ০১:৪৫ পিএম

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও সুখরঞ্জন বালি। ছবি- রূপালী বাংলদেশ গ্রাফিক্স

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও সুখরঞ্জন বালি। ছবি- রূপালী বাংলদেশ গ্রাফিক্স

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার আলোচিত সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি বলেছেন, সাঈদী একজন ভালো ও সৎ মানুষ ছিলেন। এজন্য তার জানাজায় গিয়েছিলেন।

দীর্ঘদিন পর বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সাঈদীর মামলার আলোচিত সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি ট্রাইব্যুনালে অপহরণ, গুম ও নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

এরপর সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ভালো মানুষ ছিলেন। দুইবার এমপিও হয়েছিলেন। এমপি থাকাকালে আমরা মায়ের কোলে ঘুমিয়েছি।

তাকে আমি ভাঙ্গা পুল পার করে আমার সেন্টারে নিয়ে এসেছিলোম। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, এমপি হতে পারি আর না পারি এই রাস্তারপুল আমি করে দেব। তিনি পরে সেটা করেছেন। সেজন্যে তার ওপর এতে মায়া ছিল আমার।

সুখরঞ্জন বালি আরও বলেন, তিনি সৎ ও ভালো মানুষ ছিলেন। এ জন্য আমি তার জানাজায় গিয়েছি। ছয়-সাত লাখ মানুষ হয়েছিল সেখানে কিন্তু আমি একা বক্তব্য দিয়েছি। এরপর আমি বাড়িতে থাকতে পারিনি ওই সময়ের সরকারের চাপে। আমি বাগানে থেকেছি।
 
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে অপহরণ, আটক রাখা এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল দাবি করেন তিনি।


 
বালি বলেন, সাঈদির বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়ার জন্য প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হয় তাকে। ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর সাক্ষ্য দিতে এলে সাদা পোশাকধারী পুলিশ মাইক্রোবাসে করে তাকে তুলে নিয়ে যায়। গুম করে রাখা হয় ২ মাস ১৭ দিন। পরে সীমান্ত পার করে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাকে। তখন ভারতে ৫ বছর জেলে ছিলেন তিনি।

প্রসিকিউশন অফিসে এ-সংক্রান্ত পূর্ণ বিবরণসহ লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান সুখরঞ্জন বালির আইনজীবী পারভেজ হোসেন।

তিনি বলেন, এ অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত, সাবেক প্রসিকিউটর হায়দার আলীসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।


 
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০১৩ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও পরে আপিলে সেই রায় পরিবর্তন হয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

তবে এই মামলাকে কেন্দ্র করে সাক্ষী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি তখন আন্তর্জাতিক পর্যায়েও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। ২০২১ সালে ১৩ নভেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাঈদী।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!