ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী এবং ‘মায়ের ডাক’ এর সানজিদা ইসলাম তুলির বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের’ অভিযোগে মামলা করেছেন পুরান ঢাকার এক ব্যবসায়ী।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালতে মামলার আবেদন করেন পুরান ঢাকার আনোয়ার হোসেন। আদালত বাদীর বক্তব্য শুনে আবেদনটি আমলে নেন এবং অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেন।
আদালতসংশ্লিষ্ট বেঞ্চের সহকারী সিরাজুল ইসলাম শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর ঢাকার শাহবাগে জাতীয় যাদুঘরে সামনে নারী ও শিশু ফেরামের উদ্যোগে ‘নারীর ওপর ক্রমবর্ধমান সংহিংসতা ও অসন্মান: প্রতিরোধে প্রস্তুত সচেতন সমাজ’ শীর্ষক সমাবেশ হয়, সেখানে দেওয়া তুলির বক্তব্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা হয়েছে।
তুলির বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪১ অনুযায়ী ধর্মচর্চার অধিকার হলো মানুষের মৌলিক অধিকার। ‘বিবাহ’ হলো ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতিনীতি ও বিধান। পবিত্র কোরআনে সুরা নিসার ৩ নম্বর আয়াত অনুযায়ী একজন মুসলিম পুরুষ চারটি পর্যন্ত বিবাহ করতে পারবেন। অপরদিকে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ‘মুসলিম পার্সোনাল ল (শরিয়ত) অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্ট, ১৯৩৭’ ধারা ২ অনুযায়ী বিবাহ, ভরণপোষণ, তালাক ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিদ্যমান পক্ষগণ যদি মুসলিম হয়, সেক্ষেত্রে ইসলামি শরীয়াহ আইন প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে কোনো নাগরিক ধর্ম প্রতিপালন নাও করতে পারে, কিন্তু ধর্মকে অপমান করা এবং ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করার অধিকার কারো নেই।
তুলির বিরুদ্ধে অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, তিনি ইসলামে বিবাহ বিষয়ে ‘অবমাননাকর’ বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি ইসলাম ধর্মকে ‘অপমান করেছেন’ এবং মুসলামদের ‘ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত’ করেছেন, যা দণ্ডবিধির ২৯৫(ক) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন