স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী পদে চলতি দায়িত্ব পেয়েছেন মো. আব্দুর রশীদ মিয়া।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সরকার বিভাগের উন্নয়ন-১ শাখা থেকে সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন প্রধান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আদেশে বলা হয়, এলজিইডির মানবসম্পদ উন্নয়ন, মান নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ ইউনিটের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (গ্রেড-৩) মো. আব্দুর রশীদ মিয়াকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর ‘চলতি দায়িত্ব’ প্রদান করা হলো।
জানা গেছে, প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়া ১৯৬৬ সালে ১ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার পাটাগ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিমপরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম জমির উদ্দিন মিয়া এবং মাতার নাম রহিমা বেগম।
রশীদ মিয়া ১৯৭১ সালে পাটাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করেন।
তিনি ১৯৮১ সালে তারাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫টি বিষয়ে লেটার মার্কসহ বিজ্ঞানে প্রথম বিভাগে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি পাস করেন।
তিনি ১৯৮১ সালে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৮৩ সালে ৪টি বিষয়ে লেটার মার্কসহ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাশ করেন।
১৯৮৭ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউশন অব টেকনোলজি (বিআইটি) (বর্তমানে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), থেকে পুরকৌশলে স্নাতক এবং ২০১৪ সালে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
আব্দুর রশীদ মিয়া প্রথমে জাপানের একটি বহুজাতিক কোম্পানি মিতসুবিশিতে প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগদান করে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ কর্ম-কমিশন (পিএসসি)-এর মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে তৎকালীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল ব্যুরো (এলজিইবি) সদর দপ্তরে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কাজে যোগদান করেন।
তিনি ২০০৬ সালে পদোন্নতি পেয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে এলজিইডি কুষ্টিয়া জেলায় সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এলজিইডিতে নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সিরাজগঞ্জ জেলায় নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
৩৬ বছরেরও অধিককালের কর্মজীবনে তিনি সহকারী প্রকৌশলী, উপজেলা প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এসময় তিনি প্রকল্প পরিচালক হিসেবে ঢাকা সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিবাস নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পে সম্পৃক্ত থেকে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য ঢাকায় সফলভাবে সুন্দর আবাস নির্মাণে দক্ষতার পরিচয় দেন।
রাজশাহী বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক পদে এলজিইডি সদর দপ্তরে কর্মরত থেকে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সরাসরি বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অংশ নেন, তিনি সহকারী প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
আব্দুর রশীদ মিয়া ২০১৯ সালে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।
তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (প্রশাসন)-এ দীর্ঘ সময় দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনে তিনি অত্যন্ত সাফল্যের সাথে এলজিইডির সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এরপর তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (মানব সম্পদ, পরিবেশ ও জেন্ডার) ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৩ সালে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পান।
বর্তমানে তিনি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (মানব সম্পদ উন্নয়ন, মান নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ ইউনিট)-এ কর্মরত থেকে পিইডিপি-৪ ইউনিটের দায়িত্ব যথাযথভাবে ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে পালন করছেন।
তিনি একজন মেধাবী, চৌকস, কর্মঠ, দক্ষ, সৎ প্রকৌশলী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। চাকরিতে যোগদানের পর পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কারিগরি, ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা ও অন্যান্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ, আন্তর্জাতিক সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও সরকারি দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে তিনি বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন।
এলজিইডিতে সদালাপী ও সজ্জন হিসেবে তাঁর বেশ সুনাম আছে।

 
                             
                                     সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                    -20251031160223.webp) 
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন