বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচারের মামলায় খালাস দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার মামুনের আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দেন।
আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, মামুন ও তারেক রহমানকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করা মামলাটিতে ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর ২০১১ সালের ৬ জুলাই তাদের বিচার শুরু হয়।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ঘুষ হিসেবে আদায় করা ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের দায়ে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন, তবে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এরপর ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর দুদক তারেকের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাই কোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
পরে, ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন। একইসঙ্গে মামুনের কারাদণ্ড বহাল রাখলেও অর্থদণ্ড কমিয়ে ২০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর তারেক রহমানের আইনজীবীরা নতুন আইনি পদক্ষেপ নেন এবং মামুনও খালাস চেয়ে আপিলের অনুমতি চান।
এরপর গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ আদালত তাদের সাজা ও জরিমানা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি দেয়।
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়, যার মধ্যে প্রায় ৪০টি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন।

 
                             
                                    
 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       -20251025002118.webp) 
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন