আধুনিকতা বদলে দিচ্ছে সব। তবু যেন এখনো বদলাতে পারিনি কিছুই। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় আসা বাংলাদেশ বিমানের (বিজি-৫৮৫) এর কর্মীদের বিরুদ্ধে শাহেদ এম আলী নামে এক যাত্রী ফেসবুকে পোস্ট করে দুঃখ প্রকাশ করছেন।
তিনি পোস্টে বিমানবন্দরের কর্মীদের বিরুদ্ধে লাগেজ ভেঙে চুরি করার অভিযোগ তোলেন। এছাড়া এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি কর্তৃপক্ষ ও কর্মীরা অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন বলে মনে করছেন।
বিমানবন্দরের কর্মীরা অযাচিতভাবে যাত্রীদের লাগেজ ব্যাগ ইত্যাদি ভেঙে অনাকাঙ্খিত সব ঘটনা ঘটাচ্ছে যা আইনের চোখেও দণ্ডীয়।
তিনি পোস্টে লিখেন, গত (১৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় আসা বাংলাদেশ বিমানের (বিজি-৫৮৫) সব যাত্রীর কাছে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। আপনাদের লাগেজ বেল্টে আসতে সোয়া ঘণ্টা দেরি হওয়ার অন্যতম কারণ আমি। আমার লাগেজের কম্বিনেশন ও প্লাস্টিক লক ভেঙে কিছু চকলেট-বিস্কুট নিতে বিমানবন্দরের কর্মীরা অনাকাঙ্খিতভাবে দেরি করে ফেলেছেন। ফলে অনেক যাত্রীকে রোযার ক্লান্তি এবং বাকিদের হতাশা নিয়ে লম্বা সময় লাগেজ বেল্টের সামনে তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করতে হয়েছে।
তিনি আরও লিখেন, আমার আরেক সহযাত্রীর ব্যাগের একইরকম প্লাস্টিক লক ছিড়ে একটি ব্যবহৃত গ্লুকোমিটারসহ (রক্তের সুগার মাপার যন্ত্র) কিছু জিনিস সরাতেও বিমানবন্দরের কর্মীরা অযাচিতভাবে বেশি সময় নিয়েছেন। গতি ও দক্ষতার এই যুগে এতো সময় নেওয়া কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অবশ্য তাঁদের যদি আরো যাত্রীর লাগেজ ভাঙার দায়িত্ব থাকে তাহলে ভিন্ন কথা!
কর্তৃপক্ষের উচিত ভিডিও দেখে এই অদক্ষ কর্মীদের চিহ্নিত করা এবং তাদের জায়গায় দ্রুত সময়ে তালা ভাঙ্গায় দক্ষ, মেধাবীদের সুযোগ দেওয়া।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন