সোমবার, ০৫ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৫, ১০:৫১ এএম

স্ক্যাবিসের বিস্তার বাড়ছে দেশে

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৫, ১০:৫১ এএম

স্ক্যাবিসের বিস্তার বাড়ছে দেশে

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ঢাকা, কুমিল্লা, রাজশাহী, দিনাজপুরসহ বেশকিছু জায়গায় স্ক্যাবিস রোগী বাড়ছে। ছোঁয়াচে রোগ ‘স্ক্যাবিস’ দ্রুত মানুষকে সংক্রমণ করছে। সরকারি হাসপাতালগুলোয় খোস-পাঁচড়া জাতীয় এ রোগে আক্রান্ত রোগীর ভিড় বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এটি ত্বকের সংস্পর্শে দ্রুত ছড়ায় এবং চুলকানি, ফুসকুড়ি ও ত্বকের ক্ষত সৃষ্টি করে।

‘স্ক্যাবিস’ কী ও কীভাবে ছড়ায়?

স্ক্যাবিস বা খোস-পাঁচড়া একটি প্যারাসাইটিক বা পরজীবী চর্মরোগ। এটি ছোঁয়াচে, সারকোপটিস স্ক্যাবিয়া নামক এক ধরনের পরজীবীর আক্রমণে স্ক্যাবিস হয়।

স্ক্যাবিস হয়েছে এমন কারো সরাসরি সংস্পর্শ, সংক্রমিত ব্যক্তির জামা-কাপড়, বিছানা, তোয়ালেসহ ব্যবহৃত জিনিসপত্রের মাধ্যমে স্ক্যাবিসের জীবাণু একজন থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়ায়। পরিবার, হোস্টেল, মাদ্রাসায় একজন আক্রান্ত হলে দেখা যায় বাকি সদস্যরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। যারা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাস করে, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, বস্তি এলাকা, হোস্টেল, মাদ্রাসায় যেখানে অনেকে একসঙ্গে থাকেন এমন পরিবেশে স্ক্যাবিস বা খোস-পাঁচড়া খুব বেশি ছড়ায়।

স্ক্যাবিসের লক্ষণ বা উপসর্গ কী?

‘স্ক্যাবিসে’র প্রধান উপসর্গ হলো এ রোগে আক্রান্ত হলে সারা শরীর চুলকাতে থাকে। শরীরের বিভিন্ন ভাঁজে ভাঁজে যেমন দুই আঙুলের ফাঁক, কোমর, ঘাড়, নিতম্বে, যৌনাঙ্গে, হাতের তালুতে, কবজিতে, বগলের নিচে, নাভি ও কনুইয়ে এ রোগের সংক্রমণ বেশি হয়।

এসব স্থানে ছোট ছোট লাল দানাদার র‍্যাশ বা ফুসকুড়ি ওঠে। যা খুব চুলকায়। এগুলো থেকে পানির মতো তরল বের হতে পারে। সাধারণত রাতে চুলকানি বেশি হয়।

আক্রান্ত স্থানে চুলকানির ফলে ক্ষত হতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে অন্য সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি দেখা দেয়।

তবে এ রোগের উপসর্গ পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সময় ভিন্ন হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অন্য ধরনের উপসর্গ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়।

চিকিৎসা কী?

শত শত চর্ম রোগের মধ্যে এই ‘স্ক্যাবিস’ রোগই সবচেয়ে বেশি ছোঁয়াচে। একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে সংক্রমণ দ্রুত হলেও রোগটি প্রতিরোধযোগ্য। তবে সঠিক চিকিৎসা না হলে স্ক্যাবিসের কারণে কিডনি জটিলতা দেখা দিতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। 

ফলে এ রোগে সংক্রমণের হার ঠেকাতে ওই ব্যক্তিরই শুধু নয়, বরং ওই পরিবার বা একই ঘরে অবস্থানকারী সব সদস্যের একসাথে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?

স্ক্যাবিস বা খোস-পাঁচড়া যাতে না হয় সেজন্য সবসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। নিয়মিত সঠিকভাবে গোসল করতে হবে। স্ক্যাবিস সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে। সংক্রমিত ব্যক্তির বিছানা, তোয়ালে, পোশাক, ব্যবহৃত জিনিসপত্র ব্যবহার করা যাবে না। কারো স্ক্যাবিস হলে তার ব্যবহৃত জিনিসপত্র আলাদা রাখতে হবে। ঘনবসতিপূর্ণ, সংক্রমণপ্রবণ এলাকায় সতকর্তা মেনে চলা এবং প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বাড়ির কেউ সংক্রমিত হলে সবাইকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা শুরু করতে হবে। সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!