বাংলাদেশ চায় কানাডার সঙ্গে ভবিষ্যতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে। একই সঙ্গে কানাডার কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হয়।
সোমবার (৫ মে) ঢাকায় এক বৈঠকে এই অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রসচিব। বৈঠকে অংশ নেন কানাডার সহকারী উপমন্ত্রী পল থোপিল এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বছর ব্যবধানে পল থোপিলের এ সফর দুই দেশের সম্পর্কের আরও গভীর হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। আলোচনায় উঠে আসে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন সহযোগিতা, শিক্ষা, রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কারের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আইটি, অবকাঠামো, ওষুধ, প্রকৌশল এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির মতো খাতে কানাডিয়ান বিনিয়োগের ভালো সুযোগ রয়েছে।’
এই সংস্কার কার্যক্রমের প্রশংসা করে পল জানান, কানাডিয়ান কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী।
উভয়পক্ষ বর্তমানে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ইতিবাচক অগ্রগতি নিয়েও সন্তুষ্টি প্রকাশ করে। পররাষ্ট্রসচিব উল্লেখ করেন, বাংলাদেশি পণ্যের জন্য কানাডার শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা (DFQF) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পাশাপাশি, ‘বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষা ও প্রচার চুক্তি (FIPA)’ বিষয়ে চলমান আলোচনা এবং ভবিষ্যতের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পল থোপিল বলেন, FIPA চুক্তি হলে কানাডিয়ান বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও বাড়বে।
এছাড়া, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যেন সহজে কানাডায় পড়াশোনার সুযোগ পান, সে জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন পররাষ্ট্রসচিব।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য কানাডার মানবিক সহায়তা প্রশংসনীয়। তবে মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সহায়তা আরও জোরালো হওয়া দরকার।