বৃহস্পতিবার, ০৮ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৫, ০৯:৩১ এএম

পাক-ভারত যুদ্ধ: বড় ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৫, ০৯:৩১ এএম

পাক-ভারত যুদ্ধ: বড় ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

ছবি- সংগৃহীত

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হওয়ার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা তৈরির ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত গত মঙ্গলবার রাতে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে পাকিস্তানের ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর মধ্য দিয়ে উপমহাদেশে কার্যত একটি অঘোষিত যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।

এমন উত্তপ্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও কৌশলগত অবস্থান নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন।

একদিকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, অন্যদিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘর্ষের নতুন ঢেউ-এই দুই দিক থেকেই চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষ বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।

বাংলাদেশ সরকার সীমান্তবর্তী রাখাইন অধিবাসীদের জন্য ‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন, ‘সীমান্তের ওপারে যারাই থাকবে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। যখন যার সঙ্গে ইচ্ছা তখন তার সঙ্গে দেখা করবো।’ 

বাংলাদেশের এ অবস্থান নিয়ে মিয়ানমার কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার যদি কোনো যোগাযোগ করে, তবে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে অবনতি ঘটবে। যদিও নিরাপত্তা উপদেষ্টা দাবি করেছেন, ‘রাখাইন অঞ্চল মিয়ানমার সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই’।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো রাষ্ট্রের সরাসরি যোগাযোগ হিতে বিপরীত হতে পারে। এমন সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে জটিলতার মুখে ফেলতে পারে।

এদিকে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক আগ্রহকে কেন্দ্র করে ভারত সন্দেহের চোখে দেখছে-এমন বার্তা ভারতীয় মহল থেকে আসছে।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, পাকিস্তান হয়তো বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা করছে- এমন অভিযোগ ভারত তুলতে পারে, যা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলবে।

বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করেও আন্তর্জাতিক আগ্রহ এবং নজরদারি বেড়েছে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে কৌশলগত উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।

এদিকে মিয়ানমার সীমান্তে মানবিক করিডর কার্যকর হলে তা আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার বাহিনীর সংঘর্ষের সরাসরি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষত কক্সবাজার অঞ্চলে বড় ধরনের সামরিক উত্তেজনা তৈরি হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যথার্থ নয়। এখন প্রয়োজন সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি সর্বদলীয় কৌশল নির্ধারণ। পাশাপাশি দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর জরুরি, যাতে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী থাকে।

বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ এই অবস্থান ধরে রেখেই কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। উত্তপ্ত বাস্তবতায় দায়িত্বশীল আচরণ এবং পরিপক্ব নেতৃত্বই পারে বাংলাদেশকে এই সংকট থেকে নিরাপদে রাখতে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!