বৃহস্পতিবার, ০৮ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে ফ্ল্যাট দেবে সরকার

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে ফ্ল্যাট দেবে সরকার

ছবি- সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও অঙ্গহানি বা গুরুতর আহতদের পরিবারকে ফ্ল্যাট দিবে অন্তবর্তকালীন সরকার। পাশাপাশি দেওয়া হবে আজীবন চিকিৎসা, আর্থিক অনুদান এবং পুনর্বাসনের বিভিন্ন সুবিধা।

রাজধানীর মিরপুরে নেওয়া হচ্ছে দুটি প্রকল্প।  জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাও হয়েছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানান, দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৪শ-১৫শ ফ্ল্যাট নির্মাণের চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। প্রাথমিক প্রস্তাব অনুযায়ী শহীদ পরিবারকে ১২৫০ বর্গফুট ও গুরুতর আহতদের এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর মিরপুরে দুটি আবাসন প্রকল্পের অধীনে ১৪০০ থেকে ১৫০০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

শহীদ পরিবারকে ১২৫০ বর্গফুট এবং ‘ক্যাটাগরি-এ’ চূড়ান্তভাবে অক্ষম আহতদের জন্য ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই দুটি প্রকল্পের একটি গড়ে উঠবে মিরপুর-১৪ নম্বর সেক্টরে পুলিশ স্টাফ কলেজের উল্টো পাশে, অপরটি মিরপুর-৯ নম্বর এলাকার পল্লবী থানার পেছনে।

প্রতিটি ফ্ল্যাট সমন্বিত নাগরিক সুবিধা সহকারে নির্মিত হবে। প্রকল্প এলাকায় থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মার্কেট, কমিউনিটি সেন্টার, খেলার মাঠ, সড়ক, পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সুবিধা। দু’বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কাজটি বাস্তবায়ন করবে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।

প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় প্রাথমিকভাবে দুই হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিভিন্ন অবকাঠামোগত সহযোগিতা অন্য মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়ায় ব্যয় কমে আসবে। ব্যয় সংক্রান্ত বিষয় এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই শ্রেণিবিন্যাস করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যৌথভাবে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ-১) মো. আব্দুল মতিন জানান, “জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও গুরুতর আহতদের কীভাবে সর্বোচ্চ সম্মান ও সহায়তা দেওয়া যায়, সেই লক্ষ্যে আমরা একটি প্রস্তাবনা হাতে নিয়েছি। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছে, যা মন্ত্রণালয় ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে।”

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. নুরুল বাসির বলেন, “এটি নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে অনুমোদন পেলেই আমরা প্রকল্প চূড়ান্তভাবে ঘোষণা করব। শহীদ ও গুরুতর আহতদের জন্য কিছু করা নৈতিকভাবে আমাদের দায়িত্ব।”

এছাড়া গত ৪ মে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় প্রকল্প এলাকার ভেতরে প্রয়োজনীয় সেবাসমূহ নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। এর আগে মন্ত্রণালয় নিজেদের অভ্যন্তরীণ বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে বিশদ আলোচনা করে।

আরও যেসব সুবিধা পাবেন শহীদ পরিবার ও আহতরা

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ধরনভেদে ‘ক’, ‘খ’, এবং ‘গ’ শ্রেণিতে ভাগ করে সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আহত বা জুলাই যোদ্ধারা আজীবন চিকিৎসা সুবিধা পাবেন এবং তারা ভাতাও পাবেন। যারা অতি গুরুতর আহত (ক-শ্রেণি) তারা এককালীন পাঁচ লাখ টাকা পাবেন এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন।

একটি অঙ্গহানি হয়েছে এমন আহত (খ-শ্রেণি) যারা আছেন তারা প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন এবং তারা এককালীন তিন লাখ টাকা পাবেন। সামান্য আহত (গ-শ্রেণি) যারা ছিলেন, চিকিৎসা নিয়েছেন, ভালো হয়ে গেছেন, তারা চাকরিসহ পুনর্বাসন কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার পাবেন। তারা কোনো ভাতা পাবেন না।

যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারকে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে শহীদ পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে, আগামী অর্থবছরে তারা বাকি ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র পাবেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!