আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শুক্রবার (৯ মে) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে সরকার তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত (৮ মে) থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী এবং কয়েকটি ছাত্র সংগঠন রাজধানীর যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ এনে দলটি নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। সরকার এই দাবিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।’
সরকার জানায়, ‘এই বিষয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে এবং দ্রুত আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘ যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করছে। ইতোমধ্যে প্রচলিত আইন অনুসারে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা জনদাবির প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।’
সরকার জানিয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমন প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হত্যা মামলার আসামি ও ফ্যাসিবাদী সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতির গোপনে দেশত্যাগে জনমনে যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে, সরকার তা সম্পর্কে অবগত এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর।’
আপনার মতামত লিখুন :