নৌবাহিনীর এ-২০২৫ ব্যাচের ৪৬৩ নবীন নাবিকের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৫ মে) সকাল সাড়ে নয়টায় বানৌজা শের-ই-বাংলা প্যারেড গ্রাউন্ডে এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হয়ে প্যারেড পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ সরকারের নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
প্রধান অতিথি ড. এম সাখাওয়াত হোসেন তার ভাষণে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সব অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নৌ কমান্ডোদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
এ সময় তিনি জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘তাদের আত্মত্যাগে দেশের স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা সমুন্নত হয়েছে।’
দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন নাবিকসহ সব নৌ-সদস্যকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীর অগ্রযাত্রায় নৌসদস্যদের অকৃত্রিম দেশপ্রেম, নিরলস প্রচেষ্টা ও পেশাগত উৎকর্ষতার প্রশংসা করেন।
সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সুবিশাল সমুদ্রসীমা রক্ষার পাশাপাশি শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এসব নবীন নাবিক ভবিষ্যতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
পাশাপাশি সাম্প্রতিক ইন-এইড-টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে, জনগণের জানমাল, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানে নিয়োজিত থাকায় তিনি নৌবাহিনীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
বক্তব্যের শেষে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী নবীন নাবিকদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, এবার নৌবাহিনীর এ-২০২৫ ব্যাচের নবীন নাবিকদের মধ্যে পেশাগত ও সব বিষয়ে সর্বোচ্চ উৎকর্ষ অর্জনে নৌ-প্রধান পদক লাভ করেছেন মো. গালিব আল মাহাদী অর্ণব।
দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ‘কমখুল’ পদক লাভ করেছেন মো. হাসিব হোসেন। তৃতীয় স্থান অধিকার করে ‘শের-ই-বাংলা’ পদক লাভ করেছেন মো. নাঈম গাজী।
অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী সদর দপ্তরের পিএসওগণ, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং নবীন নাবিকদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
