সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৫, ০৫:৩৬ পিএম

সচিবালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি কালও চলবে

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৫, ০৫:৩৬ পিএম

বাদামতলায় জমায়েত হওয়া কর্মচারীদের মিছিল। ছবি- সংগৃহীত

বাদামতলায় জমায়েত হওয়া কর্মচারীদের মিছিল। ছবি- সংগৃহীত

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সোমবার (২৬ মে) সকাল থেকে বাদামতলায় জড়ো হয়ে তারা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ‘ইতিবাচক কোনো সমাধান’ না হওয়ায় আগামীকাল মঙ্গলবারও চলবে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি। 

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, নতুন এই অধ্যাদেশে ১৯৭৯ সালের সামরিক শাসনামলের ‘নিবর্তনমূলক’ ধারা পুনঃপ্রবেশ করানো হয়েছে, যা সরকারি কর্মচারীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেবে।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো কর্মচারী অনানুগত্যপূর্ণ আচরণ করলে বা কর্মবিরতি পালন করলে তদন্ত ছাড়াই চাকরিচ্যুত করার বিধান রাখা হয়েছে। এমনকি অন্যদের উসকানির অভিযোগেও একই ধরনের শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে মনে করেন তারা।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর বলেন, ‘এই অধ্যাদেশ একটি কালাকানুন। এটি না উঠানো পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ছি না।’

তিনি আরও জানান, সোমবার বিকেল ৪টার মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক আশ্বাস না এলে তারা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। 

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী কর্মচারীরা সচিবালয়ের বিভিন্ন ভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে সমাবেশ করেন।

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রধান ফটকে অবস্থান নিলে ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। আধাঘণ্টা পর আবার ফটক খুলে দেওয়া হয়। সেখানে সব সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘ঐক্য ফোরাম’ ঘোষণা দেয় এই আন্দোলন আগামীকাল মঙ্গলবারও চলবে।

ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে মিছিল নিয়ে বাদামতলায় সমবেত হব। আন্দোলন যতক্ষণ না এই অধ্যাদেশ বাতিল হচ্ছে, ততক্ষণ চলবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার যদি ফাঁক-ফোকর গলে এই আইন বাস্তবায়ন করতে চায়, আমরা থেমে থাকব না। প্রয়োজনে সচিবালয়ের বাইরে সব সরকারি অফিসেও কর্মসূচি চালু করব।’

বিক্ষোভকারীরা জানান, তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিল, অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন বন্ধ, পদনাম পরিবর্তন, সচিবালয় রেশনভাতা চালু, নবম পে-কমিশন গঠন ও মহার্ঘভাতা প্রদান।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমানকে এই অধ্যাদেশের মূল রূপকার হিসেবে অভিযুক্ত করে বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, সরকারের ভেতরের কিছু ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কর্মচারীদের কণ্ঠরোধ করতে চান।

উল্লেখ্য, গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধনের খসড়া অনুমোদনের পর শনিবার অধ্যাদেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে জারি করা হয়। এরপর থেকেই সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছেন।

এই বিক্ষোভের কারণে সচিবালয়ের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটছে এবং প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, আন্দোলন বন্ধ হবে না, যতক্ষণ না ‘নিবর্তনমূলক’ অধ্যাদেশটি পুরোপুরি বাতিল করা হয়।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!