মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এখন যে ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হয়, তার বদলে এটি দেওয়া হবে। এতে সরকারি ব্যয় প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা বেড়ে যাবে। এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন প্রশ্ন তুলেছেন, এটা কি সরকারি কর্মকর্তাদের খুশি করতে করা হচ্ছে?
মঙ্গলবার (২৭ মে) চলতি অর্থবছরে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সিপিডির তৃতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনায় এ কথা বলেন তিনি।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘স্থিতিশীলতা ও নির্বাচন প্রশ্নে বলতে হয় যে, সরকারের ইতোমধ্যে ৯ মাস চলে গেছে। এখন নির্বাচনের একটি সুনির্দিষ্ট ডেট দেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে। সেটা ডিসেম্বর হোক বা জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ যেটাই হোক। নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট ডেট ঘোষণার সময় এসে গেছে।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে বিনিয়োগ হবে না। আর বিনিয়োগ না হলে কর্মসংস্থান, প্রবৃদ্ধি হবে না। ফরমাল ও ইনফরমাল খাতে বিদ্যমান কর্মসংস্থানের সুযোগও সংকুচিত হবে। এতে দারিদ্র্য বাড়বে, বৈষম্য বাড়বে। এটা দুষ্টচক্রের মতো কাজ করবে। অর্থনীতির প্লেয়াররা বা ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা অস্থিতিশীলতা পছন্দ করেন না।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকার বিনিয়োগ বাড়াতে সম্মেলন করে ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা জানলেও বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বিনিয়োগের এই অনিশ্চয়তা কাটবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন যে অনিশ্চিত তা নয়। সরকার ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেছে। হয় এখন থেকে ৯ মাস পরে হবে, না হয় ১৫ মাসের মধ্যে হবে। তবে নির্বাচন হয়ে গেলেই যে বাংলাদেশ দ্রুত একটা প্রবৃদ্ধির জগতে প্রবেশ করবে, তা কিন্তু কেউ বলছে না।
ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত যে বিনিয়োগ হবে না, তা নয়। গ্যাস সংকটের কারণে এখন বিনিয়োগ হচ্ছে না। আমাদের ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো কার্যকর করা দরকার, বাপেক্সকে শক্তিশালী করে গ্যাস সংকট দূর করা দরকার। লজিস্টিক পলিসি বাস্তবায়ন দরকার। এগুলোর করতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষার দরকার নেই। এগুলো এখন না করলে নির্বাচনের পরও বিনিয়োগকারীদের এসব সংকট দূর করা যাবে না।
আপনার মতামত লিখুন :