যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে ২২ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৩৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চিহ্নিত দুর্বৃত্ত, ডাকাত, চাঁদাবাজ, পলাতক আসামি, ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য, মাদক কারবারি, মাদকাসক্ত ও দালাল চক্রের সদস্যরা রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিট এবং অন্যান্য বাহিনীর সহযোগিতায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালায়। গ্রেফতারকৃত অপরাধীদের নিকট হতে ২১টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৯৯টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৬টি ককটেল বোমা, বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, মোটর সাইকেল, চোরাই মোবাইল ফোন, ওয়াকি-টকি, পাসপোর্ট, জালনোট ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। তাঁদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশব্যাপী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিল্পাঞ্চলসমূহে সম্ভাব্য অস্থিরতা রোধে মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও সমঝোতার মাধ্যমে বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিতে সেনা টহলদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এছাড়াও, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসা অস্থায়ী পশুরহাটে সার্বক্ষণিক নজরদারী, নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি, ঈদ যাত্রাকে সহজ করতে নির্বিঘ্নে সড়কে যান চলাচল নিশ্চিতকরণ ও টিকিট কালোবাজারি রোধকল্পে সেনাবাহিনী বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আইএসপিআর জানায়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :