আজ বিশ্ব নাবিক দিবস-২০২৫। আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থার (আইএমও) উদ্যোগে ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছরের ২৫ জুন বিশ্ব নাবিক দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের নিরব বাহক, সমুদ্রপথের এই অজানা নায়কদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় দিবসটিতে। এবারের আয়োজনেও তাদের অবদানকে তুলে ধরা হচ্ছে, যারা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে থেকে নিরবচ্ছিন্ন বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখছেন।
জাতিসংঘ স্বীকৃত এ দিবসটি প্রথম চালু হয় ২০১০ সালে, ফিলিপাইনের ম্যানিলায় আইএমও’র কূটনৈতিক সম্মেলনের মাধ্যমে। সেখানে স্ট্যান্ডার্ডস অব ট্রেইনিং, সার্টিফিকেশন অ্যান্ড ওয়াচকিপিং কনভেনশন সংশোধন করা হয়। সেই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই প্রতি বছর ২৫ জুন বিশ্বের নাবিকদের অবদানের স্বীকৃতি জানাতে দিনটি উদযাপন করা হয়।
এবছর দিবসটিকে কেন্দ্র করে এক ব্যতিক্রমী বার্তা দিচ্ছে আইএমও। এবারের প্রতিপাদ্য “প্রতিবন্ধকতামুক্ত আমার জাহাজ”। আইএমও বলছে, সমুদ্রে কাজ করা মানুষদের মধ্যে হয়রানি, বৈষম্য এবং নিপীড়নের ঘটনা রোধে এখনই সময় ব্যবস্থা নেওয়ার।
দিবসটি উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, নাবিকেরা বিশ্ব বাণিজ্যের চাকা সচল রাখেন-খাদ্য, ওষুধ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পৌঁছে দেন। আমাদের জীবন ও অর্থনীতির জন্য তাদের কাজ অপরিহার্য। তবুও, বহু সময় তাদের অধিকার উপেক্ষিত হয় এবং তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ে। এই বছর, আমরা আলোকপাত করছি সেই হয়রানি ও বৈষম্যের ওপর, যা বহু নাবিক বিশেষ করে নারী, তরুণ কর্মী এবং বিচ্ছিন্ন কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থাকা ব্যক্তিরা নিয়মিতভাবে মোকাবিলা করেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, নাবিকদের মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে গড়ে তোলা ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিবেশ এখন জরুরি। একই সঙ্গে, সমুদ্রপথে শ্রমমান রক্ষা এবং ন্যায্য, নিরাপদ ও মানবিক কর্মপরিস্থিতি নিশ্চিত করতে সরকার, শিল্পখাত এবং শ্রমিকদের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক নাবিক দিবসে আমরা অঙ্গীকার করি যে, সমতার ভিত্তিতে গড়ে উঠুক এক সম্মানজনক ও মর্যাদাপূর্ণ সামুদ্রিক পরিবেশ।
আপনার মতামত লিখুন :