ঢাকা রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫

ডেটা ক্লাসিফিকেশন থাকছে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইনে: ফয়েজ তৈয়্যব

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক অপতথ্যের গতি-প্রকৃতি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বিশ্বের প্রথমবারের মতো ‘ডেটা ক্লাসিফিকেশন’কে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইনের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীর বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক অপতথ্যের গতি-প্রকৃতি’ শীর্ষক ওই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

এ সময় ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘ডেটার যে অংশ ব্যক্তি শনাক্তে ব্যবহৃত হয়, তা ‘ক্লাসিফাই’ (শ্রেণীকরণ) করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হলো পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন ইনফরমেশন (ব্যক্তিগত শনাক্তকারী তথ্য) দেশের বাইরে না পাঠিয়ে নিজস্বভাবে একটি ‘স্টোরেজ’ (সংগ্রহশালা) গড়ে তোলা।’

তিনি আরও বলেন, ‘গোপনীয় (কনফিডেনশিয়াল) তথ্য, যেমন- স্বাস্থ্য রেকর্ড বা আর্থিক তথ্য, নির্ধারিত শর্ত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবহৃত হতে পারবে। তবে ছবি, ভিডিও বা শব্দজাত ডেটা ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে যেকোনো জায়গায় সংরক্ষণ করা গেলেও ব্যক্তি শনাক্তকারী তথ্য অবশ্যই দেশে সংরক্ষিত থাকবে।’

ফয়েজ তৈয়্যব জানান, ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি বা প্রস্তুতকৃত সব কনটেন্টকে সাইবার স্পেসের আওতায় এনে আইনের মাধ্যমে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।’

সভাপতির বক্তব্যে পিআইবির পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘গত ১৫ বছরে রাষ্ট্র নিজেই মিথ্যার কারখানায় পরিণত হয়েছিল এবং সংবাদমাধ্যম তার সহযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অপতথ্যকে কেবল ‘ফ্যাক্টচেক’ করে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়, এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’

সেমিনারে গবেষণা পত্র উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ (ইবিএলআইসিটি) প্রকল্পের পরামর্শক মামুন অর রশিদ।