বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে ওয়াকআউট করেছে সিপিবি, বাসদ ও বাংলাদেশ জাসদ। ১০ মিনিটের ‘প্রতীকী ওয়াকআউট’ করে দল তিনটি।
বুধবার (২৩ জুলাই) বেলা ১১টার পর ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে এ ঘটনা ঘটে।
শুরুতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সঞ্চালক হিসেবে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজকে কথা বলার অনুরোধ করেন। তিনি সূচনা বক্তব্য দেন।
এরপর বক্তব্য দেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
তিনি বলেন, অতীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে স্বৈরাচারী শাসকরা যে ধরনের ঘটনাগুলো ঘটাত, তারই ছায়া দেখলাম। স্বৈরাচারে যারা ছিল, তারা এখানে নানান সংকট, ষড়যন্ত্র করবে, সেটা জানি। একজন উপদেষ্টাকে দেখলাম তিনি বলছেন, গতকালের ঘটনা স্বৈরাচারেরা করেছে। এটাকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করাই (এখন) কাজ। আগে স্বৈরাচারী হাসিনা যখন বিপদে পড়ত, এ ধরনের কথা বলত, তার পাশে ১৪ দল বা অন্যরা বসে থাকত। বলত, সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। সেরকম দেখছি।
ঐকমত্যের আলোচনা জরুরি হলেও ওয়াকআউটের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন মন্তব্য করে প্রিন্স বলেন, এ ঘটনার প্রতিবাদ করা ছাড়া এখানে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য ১০ মিনিটের জন্য থাকতে চাই না।
এ সময় তাকে সমর্থন জানান জাসদের স্থায়ী কমিটির মুশতাক হোসেন এবং বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।
ওয়াকআউটের পর কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, তিনটি দল প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে যা করেছেন, সেটা নাগরিক হিসেবে, রাজনৈতিক দলের অধিকারের চর্চা হিসেবে স্বাগত জানাই। আমরা মনে করি তাদের বক্তব্যগুলো জাতির সামনে উপস্থাপিত হয়েছে, সরকার বিবেচনা করবে।