ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫

‘দগ্ধ রোগীদের রক্তের সংকট নেই, প্রস্তুত আছেন পর্যাপ্ত রক্তদাতা’

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। ছবি: সংগৃহীত

দগ্ধ রোগীদের রক্তচাহিদা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব ও উদ্বেগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

কর্তৃপক্ষ বলছে, রক্তের সংকট নেই, বরং সব ধরনের ব্লাড গ্রুপের জন্য পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতা প্রস্তুত আছেন। বুধবার (২৩ জুলাই) প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এক বার্তায় জানানো হয়েছে, দগ্ধ রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় রক্ত (সব ব্লাড গ্রুপ) নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। যথেষ্ট সংখ্যক স্বেচ্ছা রক্তদানে আগ্রহী ব্যক্তির ব্লাড গ্রুপ, নাম ও ফোন নম্বর তালিকাভুক্ত করা আছে।

যেহেতু এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে ফ্রেশ ফ্রোজেন প্লাজমা দেওয়া হয়, তাই আগে সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে না।

যখনই বিশেষজ্ঞরা মনে করবেন প্রয়োজন, তখনই তালিকাভুক্ত স্বেচ্ছাসেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে রক্ত সংগ্রহ করে রোগীকে দান করা হবে।

এমতাবস্থায় কোনো ব্লাড গ্রুপেরই রক্তের সংকট নেই, এমনকি সে ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই।

রক্তের প্রয়োজনে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সরকার ফারহানা কবির এর সঙ্গে (০১৭৯২৭৪৪৩২৫) যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে, যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৬৫ জন, যাদের অধিকাংশই শিশু ও শিক্ষার্থী। গুরুতর দগ্ধ অনেকের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৯ বছর বয়সি শিশু আরিয়া নাশরাফ নাফির মৃত্যু হয়। তার ৯৫ শতাংশ শরীর দগ্ধ ছিল বলে নিশ্চিত করেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান। এর আগে নিহতদের মধ্যে ছিল তার বড় বোন নাজিয়া তাবাসসুম নিঝুম (১৩)।

আইএসপিআর দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ তালিকায় ২৭ জন নিহতের কথা বলা হয়, যাদের মধ্যে ২৩ জন শিশু। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২-এ পৌঁছায়।