বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা গেছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহিয়া (১৪)।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। মাহিয়ার শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
মাহিয়ার মা আফরোজা বেগম বলেন, তিন মেয়ের মধ্যে মাহিয়া ছিল মেজো। পাঁচ বছর আগে ওর বাবা মারা যায়। বর্তমানে আমরা উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে নিজেদের ফ্ল্যাটে থাকি।
মাহিয়ার মা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বাচ্চা সকাল সাতটায় বাসা থেকে বের হয়, সকাল আটটা থেকে ক্লাস শুরু হয়, দুপুর একটায় তাদের ক্লাস শেষ হয়। এই মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ জোর করে বাচ্চাদেরকে আটকে রাখে কোচিং করার জন্য। তারা বাচ্চাদেরকে খাঁচায় করে আটকে রাখে। বাধ্য করা হয় কোচিং করার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি একটায় তারা বের হতে পারত তাহলে হয়তো তারা বেঁচে যেত। এমনভাবে তারা ক্লাসরুমকে খাঁচার মতো তৈরি করে রেখেছে, চাইলেও বের হতে পারে না বাচ্চারা। তারা যদি খাঁচার মতো করে আটকে না রাখত ঘটনার পরেও অনেক শিশু বাচ্চারা বের হতে পারত। আমার বাচ্চা তো চলে গেল এই দায়-দায়িত্ব এখন কে নেবে?’
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল, যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৪ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া ১৬৫ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।