নতুন অর্থবছরের প্রথম মাসেই রেমিট্যান্সে বড় ধরণের সুখবর দিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সদ্যসমাপ্ত জুলাই মাসে তারা দেশে পাঠিয়েছেন ৩০ হাজার ২৩০ কোটি টাকা।
রোববার (৩ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত বছরের একই মাসের তুলনায় এ আয় ২৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে দেশে এসেছিল ১৯১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো এই অর্থ সরাসরি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
কর্মকর্তারা মনে করছেন, হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের ধারাবাহিক উদ্যোগ, প্রবাসী আয়ে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং সেবার আধুনিকায়নের ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহে এই ধারা বজায় রয়েছে।
গত বছরের জুলাইয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রতিবাদে অনেক প্রবাসী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আহ্বান জানিয়ে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছিলেন। তবে রাজনৈতিক পরিবেশের পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসায় ফের বাড়তে শুরু করেছে বৈদেশিক আয়।
এর আগে ২০২৫ সালের জুন মাসেও দেশে এসেছিল ২৮২ কোটি ডলার, যা ওই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি ছিল। অর্থাৎ, পরপর দুই মাস ধরে রেমিট্যান্স প্রবাহে উর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্যসমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে রেকর্ড ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের অর্থবছরের ২৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। এটি দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে আসা সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রেমিট্যান্সের এই ধারাবাহিক প্রবাহ দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা এনে দিয়েছে। বিশেষ করে ডলারের জোগান ও বৈদেশিক বাণিজ্যে স্বস্তি মিলেছে। পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণ ও আমদানি ব্যয় সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রেও এটি সহায়ক হয়ে উঠছে।
আপনার মতামত লিখুন :