খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী রোববার (১৭ আগস্ট) থেকে দেশের ৫৫ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
এ বছর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ লাখ করা হয়েছে। আগামী ১৪ আগস্ট বোরো মৌসুমের ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শেষ হবে এবং ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি।
সোমবার (১১ আগস্ট) মানিকগঞ্জ জেলা সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসন এবং খাদ্য অধিদপ্তরের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন এ বছর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি চলবে ছয় মাস। গত বছর এটা ছিল পাঁচ মাস। প্রথম পর্যায়ে আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চার মাস চলবে এ কর্মসূচি। ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি এই দুই মাস খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এরপর ফেব্রুয়ারি ও মার্চ দুই মাস পুনরায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি চলবে। এ বছর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হবে।
খাদ্য উপদেষ্টা মানিকগঞ্জ জেলার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির অনুমোদিত উপকারভোগী ৫৪ হাজার ৭৫৭ জনের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। উপকারভোগীরা যাতে সঠিক সময়ে সঠিক মূল্যে নির্ধারিত পরিমাণ চাল পান সেটা নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে কোনো প্রকার অনিয়ম সহ্য করা হবে না এবং এমনটা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে সতর্ক করেন।
খাদ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, বর্তমান খাদ্য মজুদ অত্যন্ত সন্তোষজনক। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি খাদ্য এ মুহূর্তে মজুদ রয়েছে। বর্তমান খাদ্য মজুদের পরিমাণ ২১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন। আমাদের নিরাপদ খাদ্য মজুদ রাখতে হয় কম-বেশি সাড়ে ১৩ লাখ মেট্রিক টন। তারপরও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং বন্যার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। তিনি খাদ্য গুদামগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন।
মানিকগঞ্জ জেলার শতকরা ২৫ শতাংশ চরাঞ্চল। এ জেলার শতকরা ৬৫ শতাংশ জমি নিচু হওয়ায় আগাম বন্যা দেখা দেয়। এ জেলায় সরু চাল বেশি উৎপাদন হয়। এ ছাড়াও বাদাম, গাজরসহ অন্যান্য সবজি মানিকগঞ্জ জেলায় বেশি উৎপাদন হয় মর্মে মতবিনিময় সভায় জানানো হয়।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবির, আরসি ফুড ঢাকা, মানিকগঞ্জ জেলার ডিসি ফুড, কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।