২০২৬ সালের হজ কার্যক্রমে অংশ নিতে তৃতীয় পর্যায়ে ৯১টি হজ এজেন্সিকে অনুমতি দিয়েছে সরকার। বুধবার (১৩ আগস্ট) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় শর্তসাপেক্ষে প্রাথমিকভাবে যোগ্য এসব এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করেছে।
এর আগে, প্রথম পর্যায়ে ২৭ জুলাই ১৫৫টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০ আগস্ট ২৩৪টি হজ এজেন্সি অনুমোদন পেয়েছিল।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের শর্তে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কোনো এজেন্সি যৌক্তিক কারণ ছাড়া ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে হজযাত্রী নিবন্ধন (প্রাক-নিবন্ধন নয়) না করলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মক্কা-মদিনায় প্রদেয় সেবা সুবিধাদি নিশ্চিত করতে হজযাত্রীর সঙ্গে এজেন্সির লিখিত চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে।
প্রত্যেক এজেন্সিকে সৌদি সরকারের নির্ধারিত সংখ্যক হজযাত্রী পাঠাতে হবে। ৪৬ জন হজযাত্রীর জন্য একজন অভিজ্ঞ ও আরবি ভাষায় দক্ষ হজ গাইড নিয়োগ বাধ্যতামূলক। এছাড়া অনিবন্ধিত কোনো ব্যক্তিকে হজযাত্রী হিসেবে নেওয়া যাবে না। এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নিলে লাইসেন্স বাতিলসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালিকা প্রকাশের পর কোনো এজেন্সি অভিযোগ বা যোগ্যতার ঘাটতির কারণে দণ্ডিত হলে তার নাম তালিকা থেকে বাতিল করা হবে। এজেন্সির লাইসেন্স আগামী বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নবায়নের শর্তে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। লাইসেন্স নবায়ন না করলে নাম তালিকা থেকে বাতিল হবে।
প্রত্যেক এজেন্সিকে হালনাগাদ হজ লাইসেন্স, ট্রাভেল লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স ও আয়কর সনদ দাখিল করে হজ পরিচালকের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহে সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো ২০২৬ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন