ঢাকা সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকার কি পথ হারিয়েছে, প্রশ্ন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি- সংগৃহীত

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলছেন, যে উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে সরকারের সঙ্গে সংস্কার কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছিলাম, তা এখন স্তিমিত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার কি পথ হারিয়েছে? এই প্রশ্নটি আমাদের মনের ভেতর বড় আকারে আসছে।

তিনি বলেন, সংস্কার কমিটির সংস্কার প্রস্তাব যেন মাঝপথ থেকে এগোতে পারছে না। এটা কি আকাঙ্ক্ষার অভাব, সক্ষমতার অভাব নাকি বড় ধরনের স্বার্থের সংঘাত লুকিয়ে ছিল?

আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের নতুন উদ্যোগ ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ওয়াচ’-এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে এই মুহূর্তে একটি ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এই ঝড়ের আঘাত আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও সামাজিক জীবনসহ সব ক্ষেত্রে অনুভূত হচ্ছে। ঝড় যখন আসে, তখন মানুষ তার সবচেয়ে বড় সম্পদ রক্ষা করার চেষ্টা করে। এ মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো জুলাই অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে যে বৈষম্যবিরোধী চেতনা পেয়েছি সেটা রক্ষা করা। সেই বৈষম্যবিরোধী চেতনা বাস্তবায়নের জন্য মানুষের মধ্যে যে পরিবর্তনের প্রত্যাশা জেগেছে সেটা ধরে রাখা একটা বড় কাজ হিসেবে দেখি। ওই বৈষম্যবিরোধী চেতনা আগামী দিনে রাষ্ট্রযন্ত্রসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে কীভাবে আমরা স্থাপন করব সেই চেষ্টার অংশ হিসেবেই আজকের নাগরিক ঐক্য।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সংস্কারের জন্য অনেক কমিটি গঠন করছে। আমারও সৌভাগ্য হয়েছে নিজেও শ্বেতপত্র কাজের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার। তারপরও কেন এই প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন হলো? আমরা যেভাবে বর্তমান সরকার তথা সংস্কার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম, আজকে এই মুহূর্তে সেই উচ্ছ্বাস, সেই উৎসাহ অনেক স্তিমিত হয়ে গেছে। এটি একটি অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গেছে। যে সংস্কার কমিটি ও কমিশন হলো, তার সঙ্গে পিছিয়ে থাকা মানুষ, অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের সংযুক্তি যথাযথভাবে ছিল না। শেষ সময়ে এসে দেখলাম সংস্কারের সঙ্গে শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ।

দেবপ্রিয় বলেন, ঘরের ভেতরের সম্পদগুলো আমাদের রক্ষা করতে হবে। সরকার আসে, সরকার যায়। জনগণ থাকবে, দেশ থাকবে। এটা মাথায় রেখে আমরা আগামী দিনের জন্য এগোচ্ছি। আমাদের চাহিদা নাগরিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক কণ্ঠস্বরের সঙ্গে। সে কারণেই সবাইকে এক হওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করছি।