শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের শাহাদাত বার্ষিকী পালন করল বিজিবি

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের সমাধিস্থলে দোয়া করা হচ্ছে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের সমাধিস্থলে দোয়া করা হচ্ছে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী তৎকালীন ইপিআরের ল্যান্স নায়েক শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের অবিস্মরণীয় অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রতি বছরের ন্যায় এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় তার ৫৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বিজিবির যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি)-এর উপ-অধিনায়ক মেজর নূর উদ্দিন আহমাদ শার্শা উপজেলার কাশিপুরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ সময় বিজিবির একটি সুসজ্জিত দল ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। পরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বিজিবি অন্যান্য কর্মকর্তা ও সৈনিক, বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারবর্গ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল জেলার মহেষখোলা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আমানত শেখ এবং মায়ের নাম জেন্নাতুনেছা। নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর)-এ যোগ দেন। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ৮ নম্বর সেক্টর, যশোরের অধীনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ২৫ মার্চ ১৯৭১-এর পর যখন মুক্তিবাহিনীকে সুসংগঠিত করা শুরু হয় তখন তিনি যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার গোয়ালহাটি গ্রামে স্থাপিত একটি ক্যাম্পের অধিনায়কের দায়িত্ব পান।

নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর গোয়ালহাটি গ্রামের এক প্রান্তে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে শহীদ হন। তিনি দুজন সঙ্গী নিয়ে গোয়ালহাটি গ্রামের অনতিদূরে ছুটিপুর ঘাঁটি টহল দেওয়ার সময় পাকবাহিনী তাদের আক্রমণ করে। নূর মোহাম্মদ শেখ তার টহল দলটিকে রক্ষার প্রাণপণ চেষ্টা করেন। পাকবাহিনীর গুলিতে সহযোদ্ধা নান্নু মিয়া গুরুতর আহত হলে নূর মোহাম্মদ শেখ হাতে এলএমজি এবং কাঁধে গুরুতর আহত সঙ্গীকে নিয়ে শত্রুবাহিনীর দিকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে নিরাপদ জায়গায় যেতে থাকেন।

হঠাৎ শত্রুর দুই ইঞ্চি মর্টারের আঘাতে তার হাঁটু ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। তার সঙ্গীরা যেন প্রতিরক্ষা ঘাঁটিতে পৌঁছাতে পারেন সে জন্য মারাত্মক আহত অবস্থায়ও নূর মোহাম্মদ শেখ গুলি চালাতে থাকেন এবং একসময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। যশোরের শার্শা থানার কাশিপুর গ্রামে এই বীর যোদ্ধাকে সমাহিত করা হয়।

নূর মোহাম্মদ শেখ নিজের প্রাণের বিনিময়ে সহযোদ্ধাদের জীবন রক্ষা করেছিলেন। তার এই অপরিসীম বীরত্ব, সাহসিকতা ও দেশপ্রেমের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে সর্বোচ্চ সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!