ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন ভবন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর) ভুটানের রাজকন্যা ইউফেলমা চোডেন ওয়াংচুক প্রধান অতিথি হিসেবে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, প্রধান বিচারপতি নরবু শেরিং, জাতীয় পরিষদের চেয়ারপারসন সাংয়ে দর্জি, বিদেশনীতি ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী ডি.এন. ধুনগয়েল, জ্বালানি মন্ত্রী জেম শেরিং, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম এবং বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বিদ্যমান ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। নতুন দূতাবাস ভবন দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
এর মধ্যেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব, ভুটানের রাজা, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর, সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়।
উভয় পক্ষ কুড়িগ্রামে অবস্থিত ভুটানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং এটিকে ভুটানের গেলেফু মাইন্ডফুলনেস সিটির সাথে সংযুক্ত করার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র সচিব ভুটানের নেতৃত্বকে আশ্বাস দেন যে, গেলেফু মাইন্ডফুলনেস সিটি বিষয়ে ভুটানের রাজার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে।
এ ছাড়াও, ভুটান বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানি, ইন্টারনেট সংযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে। বাংলাদেশও ভুটানে দক্ষ পেশাজীবী রপ্তানির ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন