ঢাকা সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

৪০ বছর পর জাতিসংঘের প্রেসিডেন্ট পদে বাংলাদেশ, প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিন

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৫:৪০ এএম
বাংলাদেশ ফিলিস্তিন-এর পতাকা ও জাতিসংঘের লোগো। ছবি- সংগৃহীত

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৮১তম সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেছে বাংলাদেশ। এ পদে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিন এবং সাইপ্রাসও রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানা গেছে, এই মাসের শেষের দিকে জাতিসংঘের ৮০তম অধিবেশনের সময় বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করবে। প্রচারণায় দেশের প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি অংশ নেবেন। ২০২৬ সালের মে মাস পর্যন্ত দেশ ও বিদেশে এই প্রচার কার্যক্রম চলবে। এই পদে বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ফিলিস্তিনের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এই নির্বাচনে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে আসছে এবং জাতিসংঘে বিভিন্ন ভোটে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

তবে সরকারের একনিষ্ঠ সমর্থন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাব বাংলাদেশের জয়ের পথে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও নতুন সরকারের গঠনের পর এই প্রার্থিতার প্রভাব কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।

জাতিসংঘে সাধারণত পাঁচটি আঞ্চলিক গ্রুপ থেকে পালাক্রমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এবারের নির্বাচনে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে বাংলাদেশ, ফিলিস্তিন এবং সাইপ্রাস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা মিশন, আন্তর্জাতিক উপস্থিতি এবং প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

তিনি আরও জানান, ‘ফিলিস্তিন পরবর্তীতে প্রার্থীতা ঘোষণা করলেও বাংলাদেশ পাঁচ বছর আগে থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল, তাই বাংলাদেশের প্রার্থিতা যথাযথ ও শক্তিশালী।’

১৯৮৬ সালে জাতিসংঘের ৪১তম সাধারণ পরিষদে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী বাংলাদেশকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত করেছিলেন। সেই ইতিহাসকে সামনে রেখে ৪০ বছর পর আবারও এই সম্মানজনক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বাংলাদেশ।