ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মন্ত্রীদের দামি গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ নিয়ে অনুসন্ধান চায় টিআইবি

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ১১:১৭ পিএম
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের লোগো। ছবি- সংগৃহীত

ভবিষ্যৎ সরকারের মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কেনার উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি মনে করে, এ ধরনের কেনাকাটায় অতি আগ্রহের পেছনের কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি।

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব বাতিল হওয়ার পরও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আবারও তুলনামূলক বেশি দামে গাড়ি কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। টিআইবির মতে, এটি কেবল অপ্রয়োজনীয় ব্যয় নয়, বরং বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলে দেখা যাওয়া আমলাতান্ত্রিক তোষামোদি সংস্কৃতির ন্যক্কারজনক পুনরাবৃত্তি।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি বলেছে, প্রথমবার সমালোচনার মুখে গাড়ি কেনার প্রস্তাব নাকচ হওয়ার পর আবারও বেশি দামে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। এতে পরিষ্কার হয়, এক শ্রেণির আমলা ভবিষ্যৎ সরকারের সম্ভাব্য মন্ত্রীদের তুষ্ট করার জন্য অতিরিক্ত আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী ও তোষণপ্রবণ আমলাদের প্রস্তাব অনুযায়ী গাড়ি কেনার এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য। এটি কেবল সরকারি অর্থের অপচয় নয়, বরং পতিত সরকারের সময়কার সুবিধাবাদী আমলাতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আত্মঘাতী উদাহরণ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইন অনুযায়ী একজন মন্ত্রী সরকারিভাবে একটি গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ পান। বর্তমানে মন্ত্রীরা ও উপদেষ্টারা এই সুবিধা পাচ্ছেন। তবুও কেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ভবিষ্যৎ মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার কেনায় এতটা উদ্গ্রীব, তা বোধগম্য নয়। সরকারের এ আগ্রহের পেছনে কী উদ্দেশ্য কাজ করছে, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।’

ড. ইফতেখারুজ্জামান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের গাড়ি কেনার অনুমোদন দিলেও তা পরবর্তী সরকারের মন্ত্রীদের কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। তা ছাড়া সরকারের ব্যয় সংকোচনের নিজস্ব সিদ্ধান্তের সঙ্গে এটি সাংঘর্ষিক। প্রশ্ন হলো, জবাবদিহিমূলক সরকার ব্যবস্থায় এই ধরনের স্ববিরোধী পদক্ষেপের দায়ভার কে নেবে?’

টিআইবির মতে, রাষ্ট্র সংস্কার ও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি পূরণে সরকারের উচিত এমন ব্যয়বহুল ও বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বাতিল করা। একই সঙ্গে অতি উৎসাহী কিছু আমলার মাধ্যমে কেন এই প্রস্তাব আনা হলো, সেটি অনুসন্ধান করে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার দাবি জানায় সংস্থাটি।