ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর, ২০২৫

রাজধানীর যেসব ঘাটে হবে প্রতিমা বিসর্জন

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৫, ১০:১৬ এএম
ছবি- সংগৃহীত

ভক্তদের অশ্রুভেজা আবেগের মধ্য দিয়ে বেজে উঠেছে বিদায়ের সুর। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব।  সকালে দেবীর দশমী বিহিত পূজা দিয়ে শুরু হয়ে দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ উৎসব।

প্রতিবারের মতো এবারও প্রতিমা বিসর্জন জন্য রাজধানীর ১০টি ঘাট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর ২৫৪টি পূজামণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হবে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীর ১০টি ঘাটে। এর মধ্যে রয়েছে—বিনা স্মৃতি স্নান ঘাট, ওয়াইজ ঘাট, নবাববাড়ি ঘাট, লালকুঠি ঘাট, তুরাগের ধউর ঘাট, মিল ব্যারাক ঘাট, পোস্তগোলা শ্মশান ঘাট, আমিনবাজার ব্রিজ ঘাট, বসিলা ব্রিজ ঘাট ও বালু নদের কয়েতপাড়া ঘাট। সবচেয়ে বেশি বিসর্জন হবে বিনা স্মৃতি স্নান ঘাট, ওয়াইজ ঘাট ও নবাববাড়ি ঘাটে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, অধিকাংশ মণ্ডপ থেকে প্রতিমা প্রথমে আনা হবে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। সেখান থেকে শোভাযাত্রাসহ নিয়ে যাওয়া হবে বিনা স্মৃতি স্নান ঘাটে। নির্বিঘ্ন বিসর্জনের জন্য সব ঘাট সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সোয়াত, বোম ডিসপোজাল ও কে-নাইন ইউনিট।

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানান, প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে সাড়ে ৪ হাজার পুলিশ সদস্য এবং অতিরিক্ত আরো ২ হাজার ৪০০ ফোর্স মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া পলাশীর মোড়, রায়সাহেব বাজার ও ওয়াইজ ঘাটে তিনটি অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হবে।

শুধু পুলিশই নয়, র‌্যাবও নিরাপত্তা তদারকিতে থাকবে। ৯৪টি টহল টিমের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও সদস্যরা মাঠে থাকবেন। সদর দপ্তরসহ প্রতিটি ব্যাটালিয়নের কন্ট্রোল রুম থেকে মনিটরিং হবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি।

র‌্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান জানান, গুজব ছড়ালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা যেকোনো তথ্যও খতিয়ে দেখা হবে।

এদিকে সেনা সদস্যরা রোবাস্ট প্যাট্রলিং করবে, আর বিজিবি ঘাটে ঘাটে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেবে। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ভবিষ্যতেও সাম্য ও সৌহার্দ্যের মধ্য দিয়ে সবাই যাতে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারে সে লক্ষ্যেই তারা কাজ করছেন।

প্রতিমা বিসর্জনের সময় দুর্ঘটনা ঠেকাতে নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসও তৎপর থাকবে। বুড়িগঙ্গায় নৌ পুলিশের ছয়টি ট্রলার বোট, দুটি স্পিডবোট ও দুটি ওয়াটার বাইক টহল দেবে। কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে মাইকিং, টহল ও ডুবুরি দল প্রস্তুত রাখা হবে।

কোস্ট গার্ড মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘বিসর্জনের সময় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও প্রস্তুতি থাকবে, আর যদি ঘটে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে ডুবুরি ও বোট টিম প্রস্তুত থাকবে।’