সরকার আবারও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ সংশোধন করতে যাচ্ছে। নতুন সংশোধনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর অধীনে থাকা সব মামলা বাতিলের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ফলে ওই আইনে সাজাপ্রাপ্ত বা অভিযুক্ত ব্যক্তিরা মুক্তি পাবেন, এবং তদন্তাধীন মামলাগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়। বৈঠকে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর ৫০ ধারা সংশোধনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। একই সভায় আরও ১১টি অধ্যাদেশ ও তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
সংশোধিত ধারায় ৫০ এর উপ-ধারা (৪)-এর পর নতুন উপ-ধারা (৪ক) যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩১ ধারা এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধে চলমান মামলা, তদন্ত বা কার্যক্রম বাতিল বলে গণ্য হবে। এসব ধারার অধীনে আদালত বা ট্রাইব্যুনালে প্রদত্ত সব দণ্ড ও জরিমানাও বাতিল হিসেবে গণ্য হবে।
ডিজিটাল অপরাধ দমনে ২০১৮ সালে প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন শুরু থেকেই ব্যাপক সমালোচিত হয় এর নিবর্তনমূলক ধারার কারণে। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে কিছু ধারা সংশোধন করে নামকরণ করা হয় সাইবার নিরাপত্তা আইন। আর অন্তর্বর্তী সরকার এসে আরও সংশোধন এনে এটিকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে পরিণত করে।
বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সাংবাদিকদের জানান, “২০১৮ সালের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধীনে হওয়া সব মামলা বাতিল করা হয়েছে। ফলে ওই আইনে সাজাপ্রাপ্ত ও অভিযুক্ত সবাই মামলার দায় থেকে মুক্তি পাচ্ছেন।”
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন