ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

কীভাবে পঞ্চগড়ে পৌঁছালেন জানালেন মুফতি মুহিবুল্লাহ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৫, ১২:০৫ পিএম
মুফতি মুহিবুল্লাহ মিয়াজী। ছবি- সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার টিঅ্যান্ডটি বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহিবুল্লাহ মিয়াজী নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি নিজ উদ্যোগে পঞ্চগড়ে গিয়েছিলেন।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি হাঁটতে গিয়েছিলাম। হাঁটতে যাওয়ার পর হঠাৎ মনে হলো, চলতে থাকি, যাই। কোন দিকে যাচ্ছি, তা ঠিক জানতাম না। একপর্যায়ে অটো পেয়েছিলাম, অটোতে উঠে মীরের বাজারে নামলাম। নামার পর মনে হলো জয়দেবপুর যাই। সিএনজিতে জয়দেবপুর পৌঁছালাম। এরপর মনে হলো এখন বাসে উঠি।’

মুফতি মুহিবুল্লাহ বলেন, ‘বাসে উঠে শ্যামলী বা অন্য কোনো জায়গায় নামলাম। এখান থেকে আরেকটি বাসে উঠেছিলাম এবং গাবতলী পৌঁছালাম। তারপর মনে হলো টিকিট কেটে পঞ্চগড় যাই। অনেক রাত পঞ্চগড়ে পৌঁছালাম। সেখানে হাঁটছিলাম, কোন দিকে যাচ্ছি জানতাম না।’

তিনি আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পুলিশ লাইনস পার হয়ে গিয়েছিলাম। হেঁটে গিয়ে একটি লোহার শিকল পেলাম। সেই শিকল নিয়ে এক জায়গায় প্রস্রাব করতে বসলাম। প্রস্রাবের সময় পায়জামা ও জামায় লাগল। জামা-পায়জামা খুলে ফেলার চেষ্টা করলেও ঠাণ্ডার কারণে পরতে পারলাম না। শুইয়ে পড়লাম এবং শিকল পায়ে দিলাম। কেন এটা করছিলাম, তার কোনো চিন্তাভাবনা ছিল না, শুধু যা মাথায় আসছিল তাই করছিলাম।’

এর আগে, গাজীপুরের টঙ্গী টিঅ্যান্ডটি এলাকার বিটিসিএল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহিবুল্লাহ মিয়াজীকে (৬০) পঞ্চগড় সদর থানার হেলিপ্যাড বাজার এলাকা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ ২৩ অক্টোবর সকালে তাকে একটি গাছের সঙ্গে লোহার শিকল দিয়ে বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে এবং স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে।

এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, মুফতি মুহিবুল্লাহর আচরণ এবং পঞ্চগড়ে পৌঁছানোর প্রক্রিয়া নিয়ে তারা বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছেন।