ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

‘এটা বাংলাদেশ নয়’ : পর্তুগালের নির্বাচনি বিতর্কিত পোস্টার ভাইরাল

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৫, ০১:২৭ পিএম
বিলবোর্ড। ছবি - সংগৃহীত

পর্তুগালের কট্টর-ডানপন্থি নেতা আন্দ্রে ভেনচুরা এবং তার দল শেগা’র নতুন নির্বাচনি প্রচার এখন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। মন্তিজো শহরের একটি বাসস্টপে ঝোলানো একটি বিলবোর্ডে বড় অক্ষরে লেখা ছিল, ‘Isto não é Bangladesh’– অর্থাৎ ‘এটি বাংলাদেশ নয়’, যা স্থানীয় বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। আরেকটি পোস্টারে লেখা ছিল, ‘জিপসিদের আইন মানতে হবে’, যা জেনোফোবিয়া এবং বর্ণবাদের অভিযোগে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ভেনচুরা পর্তুগালের প্রধান বিরোধী দল শেগা’র নেতা এবং তার দল অভিবাসনবিরোধী নীতি নিয়ে আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে চায়। নির্বাচনি প্রচারের অংশ হিসেবে এই পোস্টারগুলো রাস্তায় প্রকাশ করা হয়েছে। ভেনচুরা নিজে ইনস্টাগ্রামে পোস্টারের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ওরা এরই মধ্যে রাস্তায় নেমে পড়েছে। ১৮ জানুয়ারি আমরা এই দেশকে নাড়িয়ে দেব। কোনো ভয় নেই!’

বাসস্টপে ঝুলানো বিলবোর্ড প্রসঙ্গে মন্তিজো শহরের মেয়র কার্লোস আলবিনো বলেছেন, ‘যখন বলা হয় আইন মানতে হবে, তখন সবাইকেই আইন মানতে হবে। এটি কোনো বিশেষ সম্প্রদায় বা দলের জন্য নয়। অভিবাসীরাই হোক বা শেগা দলের সদস্যরা—সবাই আইন মেনে চলুক। আন্ড্রে ভেনচুরা থেকে শুরু করে আইন সবার জন্য প্রযোজ্য। জেনোফোবিয়া এবং বর্ণবাদ অপরাধ।’

এটি আইন লঙ্ঘনমূলক কাজ উল্লেখ করে মেয়র আলবিনো আরও জানান, ‘নগর পরিষদ এসব পোস্টারের জন্য সরাসরি অভিযোগ দায়ের করবে না। আগে পোস্টারগুলো প্রসিকিউটর অফিস এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে যাচাই করা হবে।’

এদিকে পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশি সাংবাদিক ফারিদ পাটোয়ারি বলেছেন, ‘অনলাইনে এমন বার্তা দেখা যায়, কিন্তু রাস্তায় পোস্টার হলে প্রভাব অনেক বেশি। এটি সহিংসতার সম্ভাবনাও বাড়াতে পারে। পর্তুগাল সবসময় নিরাপদ এবং আতিথেয় দেশ হিসেবে পরিচিত। তবে দেশে এমন বার্তা প্রকাশিত হলে চুপ থাকা উচিত নয়। আমাদের অবশ্যই প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে।’

বাংলাদেশ দূতাবাসও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবাসীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

উল্লেখ্য, পর্তুগালে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দে সুসা, লুইস মার্কেস মেন্ডেস, আন্তোনিও হোসে সেগুরো, আন্দ্রে ভেনচুরা, হেনরিক গোভেইয়া ই মেলো, জোয়াও কোট্রিম দে ফিগেইরেদো, আন্তোনিও ফিলিপ, ক্যাটারিনা মার্টিনস এবং হোর্হে পিন্টো।