ঢাকা বুধবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৫

সরকারি অনুদান গ্রহণে ৭৮ লাখের বেশি উপকারভোগীর পছন্দ ‘নগদ’

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৫, ০৪:২০ পিএম
নগদ। ছবি- সংগৃহীত

সরকারি বিভিন্ন ভাতা ও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির অর্থ গ্রহণে দেশের ৭৮ লাখের বেশি উপকারভোগী ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-কে বেছে নিয়েছেন। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে এই বিপুল সংখ্যক উপকারভোগী সরকারি ভাতা গ্রহণ করেছেন নগদের মাধ্যমে।

নগদের প্রতি এই আস্থা ও নির্ভরতার কারণ হিসেবে সেবাটির সহজ ব্যবহার, দ্রুত লেনদেন, নিরাপত্তা ও গ্রাহকবান্ধব সেবাকে চিহ্নিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নারী ও শিশু সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকার বেশি ভাতা সফলভাবে পৌঁছে দিয়েছে নগদ, যা দেশের ৬৪ জেলার উপকারভোগীদের হাতে পৌঁছেছে।

এ বছর সরকার সব মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)-এর মাধ্যমে ভাতা গ্রহণের সুযোগ রাখলেও অধিকাংশ উপকারভোগী নগদকে বেছে নিয়েছেন। দেশের বয়স্ক, বিধবা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি, বেদে সম্প্রদায় ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষসহ প্রায় ৭৫ লাখের বেশি উপকারভোগী তাদের নগদ ওয়ালেটের মাধ্যমে ভাতা গ্রহণ করেছেন।

সরকার হতদরিদ্র ও প্রতিবন্ধীদের জন্য মাসিক ৯০০ টাকা, বয়স্কদের জন্য ৬৫০ টাকা এবং বিধবা ও স্বামী-নিগৃহীত নারীদের জন্য ৬৫০ টাকা করে ভাতা বিতরণ করছে, যা সহজে ও সফলভাবে পৌঁছে দিয়েছে নগদ। নারী ও শিশু সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় তিন লাখের বেশি উপকারভোগী প্রতি মাসে ৮৫০ টাকা করে তিন বছর (৩৬ মাস) ভাতা পেয়েছেন এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে।

নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, ‘দেশের ৬৪ জেলার লাখ লাখ উপকারভোগী সরকারি ভাতার টাকা নগদের মাধ্যমে গ্রহণ করেছেন—এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। গ্রাহকের এই আস্থা আমাদের ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে আরও অনুপ্রেরণা দেবে। আমরা কাজ করছি যেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি উপকারভোগী কোনো মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়া সহজে, নিরাপদে ও দ্রুত সেবা পেতে পারেন।’

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সরকার প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা নগদের মাধ্যমে বিতরণ করেছে। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় চলতি বছরও ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ভাতা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে, যা সরকারের ডিজিটাল সেবা ব্যবস্থার প্রতি আস্থা আরও মজবুত করেছে।

ডিজিটালাইজেশনের সুফল এখন সরাসরি পাচ্ছেন উপকারভোগীরা—তারা মুহূর্তে, খুব সহজে এবং ঝুঁকিমুক্তভাবে তাদের প্রাপ্য অর্থ গ্রহণ করতে পারছেন।

বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল লেনদেনের অবকাঠামো নির্মাণে অংশীদার হিসেবে নগদ গ্রাহক সেবাকেন্দ্রিক বিভিন্ন উদ্ভাবনী কার্যক্রমের মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে কাজ করছে।