ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হলেও অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, তারা কিছুই বুঝতে পারেননি। কেউ লিখেছেন, ‘ভূমিকম্প হইছে জানতামই না, আবার কেউ বলেছেন, ‘ঘুম থেকে উঠে ফেসবুকে এসে দেখলাম ভূমিকম্প হয়ে গেছে।’
প্রশ্ন উঠেছে- একই স্থানে, একই সময়ে থেকেও কেন সবাই ভূমিকম্প অনুভব করেন না? এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত সংবেদনশীলতার পার্থক্য এবং ব্যক্তির অবস্থানের জন্যই এই তারতম্য ঘটে।
উচ্চতা বাড়লে বাড়ে অনুভূতির সম্ভাবনা
এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাখাওয়াত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্প অনুভব করা অনেকটাই নির্ভর করে ব্যক্তি কত তলায় অবস্থান করছেন তার ওপর। আপনি যত উপরের তলায় থাকবেন, ঝাঁকুনি অনুভব করার সম্ভাবনা তত বেশি। নিচের দিকে থাকলে কম অনুভূত হয়।
সংবেদনশীলতার পার্থক্যও বড় কারণ
ড. শাখাওয়াত হোসেন জানান, অনেক মানুষের মোশন সেনসিটিভিটি বা গতিবোধ খুব বেশি, আবার কারও তা কম। যাদের সংবেদনশীলতা কম, তারা সামান্য নড়াচড়া টের পান না। আবার যারা উচ্চতা সহ্য করতে পারেন না কিংবা সামান্য নড়াচড়াতেই অস্থির হয়ে পড়েন, তারা ভূমিকম্প দ্রুত টের পেয়ে যান।
কাজের অবস্থানেও ভিন্নতা দেখা যায়
তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্পের সময় কেউ কী অবস্থায় ছিলেন, তার ওপরেও অনুভূতির পার্থক্য নির্ভর করে। যিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি বেশি টের পাবেন। কেউ যদি হাঁটাহাঁটি করেন, দৌড়ান বা রান্নাঘরে ব্যস্ত থাকেন, তার অনুভব করার সম্ভাবনা কম। কিন্তু যিনি স্থির হয়ে টেবিলে বসে কাজ করছেন, তিনি দ্রুত টের পেয়ে যাবেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্প অনুভূতির এই তারতম্য স্বাভাবিক। তবে দুর্যোগের সময় সচেতনতা ও প্রস্তুতিই পারে ক্ষতি কমাতে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন