ঢাকা সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫

নরসিংদীর সাবেক পুলিশ সুপারকে ‘তিরস্কার’ করল সরকার

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম
বরিশাল মহানগর পুলিশের (বিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার ও নরসিংদীর সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল হান্নান। ছবি- সংগৃহীত

বরিশাল মহানগর পুলিশের (বিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার ও নরসিংদীর সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে আনা গুরুতর অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে তাকে ‘তিরস্কার’ দণ্ড দিয়েছে সরকার।

আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-১ শাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনেই এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০২৩ সালে নরসিংদীর পুলিশ সুপার পদে নিজেকে নিয়োগ নিশ্চিত করতে আব্দুল হান্নান কথিতভাবে রবিউল মুন্সী নামের একজনকে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দেন। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে সেই পদায়ন আর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।

পরবর্তীতে তিনি গত বছরের ৯ নভেম্বর নরসিংদীর এসপি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এবং তার অধীনস্ত ডিবি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক এস এম কামরুজ্জামান অনুমতি ছাড়া ঢাকায় গিয়ে মনিপুরীপাড়ায় রবিউল মুন্সীর অফিস থেকে ৫ লাখ টাকা আদায় করেন।

বাকি ৪৫ লাখ টাকা ফেরতের বিষয়ে তাদের উপস্থিতিতে একটি স্বহস্তে লেখা দলিলও নেওয়া হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সাংবাদিক নেছারুল হক খোকনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের সময় বদলি-সংক্রান্ত বিষয় এবং ব্যক্তিগত কাজে অধস্তন পুলিশ সদস্য ব্যবহারের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক মন্তব্য করেন আব্দুল হান্নান।

কথোপকথনটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার পর আব্দুল হান্নান লিখিত জবাব দেন এবং ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন।

গত ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত শুনানিতে তার বক্তব্য, তদন্ত নথি ও প্রাপ্ত প্রমাণ পর্যালোচনার পর অভিযোগগুলো সত্য বলে প্রমাণিত হয়।

এর ভিত্তিতে তদন্ত কর্মকর্তা ও শুনানি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তাকে ‘তিরস্কার’ শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

যদিও ঘুষ লেনদেন ফৌজদারি অপরাধের আওতায় পড়ে, তবুও গুরুতর এসব অভিযোগে তাকে শুধুমাত্র ‘তিরস্কার’ দণ্ড দেওয়া হয়েছে।