বলিউডের কিংবদন্তি তারকা ধর্মেন্দ্র আর নেই। আজ মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ৮৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন এই প্রবীণ অভিনেতা। তার মৃত্যুতে বলিউডসহ ভক্তদের মাঝে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। তবে সঙ্গে সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- ধর্মেন্দ্র রেখে যাওয়া আনুমানিক ৪০০–৪৫০ কোটি রুপির বিপুল সম্পদের উত্তরাধিকারী হবেন কারা?
ছয় দশকেরও দীর্ঘ অভিনয়জীবনে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য সুপারহিট ছবি- ‘শোলে’, ‘ধরমবীর’, ‘সীতা অর গীতা’, ‘প্রতিজ্ঞা’সহ তালিকায় রয়েছে আরও বহু সিনেমা। কিন্তু শুধু রুপালি পর্দাতেই নয়, ব্যবসাতেও অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছিলেন তিনি। মুম্বাইয়ের বিলাসবহুল বাংলো, লোনাভালা-খান্ডালার বিশাল ফার্মহাউস, জুহুসহ মহারাষ্ট্রে একাধিক সম্পত্তি- সব মিলিয়ে তার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় কয়েক’শ কোটি রুপি।
এছাড়া তার খাবার ব্যবসা ‘গরম ধরম’ ও ‘হি-ম্যান রেস্তোরাঁ’ ভারতের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত নিজের প্রযোজনা সংস্থা বিজেতা ফিল্মস থেকেও নিয়মিত আয় করতেন তিনি।
ধর্মেন্দ্রর পারিবারিক কাঠামোও যথেষ্ট বড় ও আলোচিত। প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের ঘরে তার চার সন্তান- সানি দেওল, ববি দেওল, অজিতা দেওল ও বিজেতা দেওল। পরে অভিনেত্রী হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন তিনি, যাদের দুই কন্যা- এশা দেওল ও অহনা দেওল। দুই বিবাহ ও ছয় সন্তানের এই পরিবারেই এখন সম্পদ বণ্টনকে কেন্দ্র করে আইনি কাঠামোর আলোচনাই মুখ্য হয়ে উঠেছে।
আইন অনুযায়ী, প্রথম বিবাহ বহাল থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বিবাহ হিন্দু বিবাহ আইনে বৈধতা না পেলেও ওই বিবাহ থেকে জন্ম নেওয়া সন্তানরা পুরোপুরি বৈধ। তারা পিতার স্ব-অর্জিত সম্পত্তির ওপর পূর্ণ অধিকার রাখে। অর্থাৎ ধর্মেন্দ্রর রেখে যাওয়া সম্পদ সমানভাবে ভাগ হবে তার ছয় সন্তানের মধ্যে- সানি, ববি, অজিতা, বিজেতা, এশা ও অহনার মধ্যে। তবে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে হেমা মালিনী নিজে ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিগত সম্পত্তির কোনো অংশ পাবেন না, যদিও তাদের দুই মেয়ে সমান অংশের দাবিদার থাকছেন।
সব মিলিয়ে বলা যায়, অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যবসায়িক মেধা এবং জনপ্রিয়তা মিলিয়ে ধর্মেন্দ্র যে বিপুল উত্তরাধিকার রেখে গেছেন, তা এখন এগিয়ে নিয়ে যাবেন তার ছয় সন্তান। কিংবদন্তি এই অভিনেতার প্রয়াণে শোকাবদ্ধ বলিউড, তবে তার অবদান চিরদিনই অমলিন হয়ে থাকবে।


