চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিদেশি কোম্পানির চুক্তির বৈধতা নিয়ে রিটকারীর পেছনে হুলো বিড়াল কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রিটের শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই মন্তব্য করেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বন্দর নিয়ে রিটকারীর পেছনে হুলো বিড়াল বসে আছে টাকা পয়শা নিয়ে। তারা পেছনে নিজের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে সামনে এসে পাবলিক ইন্টারেস্টের কথা বলছেন।
এর আগে, সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিদেশি কোম্পানির চুক্তির বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষে বিষয়ে আগামী ৪ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
রিট আবেদনের শুনানিতে রিটকারীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ ও ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
গত ১৩ নভেম্বর আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, রুলের শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এনসিটি বিদেশিদের কাছে হস্তান্তর করা হবে না। একই দিন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিমও জানান, আদালতকে এ আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ৩০ জুলাই এনসিটি পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের চুক্তির প্রক্রিয়া কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি অপারেটর নিয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বানের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চান আদালত।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন