চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজের অপেক্ষার সময় (ওয়েটিং টাইম) উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এখন শূন্যে নেমে এসেছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ৯ দিন, অক্টোবরে ১৮ দিন এবং নভেম্বরে ১৯ দিন কোনো জাহাজই নোঙরে অপেক্ষায় থাকেনি। আগত জাহাজগুলো অন–অ্যারাইভাল বার্থ পাচ্ছে। ফলে আমদানি-রপ্তানিকারকেরা দ্রুত পণ্য খালাস ও রপ্তানি পণ্য সঠিক সময়ে জাহাজীকরণের সুযোগ পাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, আধুনিক কার্গো ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম সংযোজন, ইয়ার্ডের ক্ষমতা বৃদ্ধি, তথ্যপ্রযুক্তির উন্নত প্রয়োগ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় বন্দরের কার্যক্রমে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে।
সম্প্রতি মায়ের্স্ক শিপিং লাইনের একটি প্রতিনিধি দল সিঙ্গাপুর থেকে এসে চট্টগ্রাম বন্দরের এই অগ্রগতির প্রশংসা করেছে। বিশেষ করে জাহাজের অপেক্ষার সময় কমে যাওয়া এবং অপারেশনাল দক্ষতা ও সেবার মানের ধারাবাহিক উন্নয়ন তাদের কাছে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে উঠে এসেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে বন্দরে হ্যান্ডলিং হয়েছে ২৮ লাখ ৪৯ হাজার ৫৪২ টিইইউএস কনটেইনার। একই সময়ে কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ ১১ কোটি ৫০ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ টন। এ সময়ে বন্দরে ৩ হাজার ৫৫২টি জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কনটেইনার হ্যান্ডলিং ৪.৮৭ শতাংশ, কার্গো হ্যান্ডলিং ১২.৬৪ শতাংশ এবং জাহাজ হ্যান্ডলিং ১০.৯৭ শতাংশ বেড়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই–অক্টোবর) বন্দরে হ্যান্ডলিং হয়েছে ১২ লাখ ১৩ হাজার ৮০৫ টিইইউএস কনটেইনার, ৪ কোটি ৫২ লাখ ৮২ হাজার ৯০৭ টন কার্গো এবং ১ হাজার ৪২২টি জাহাজ। এ ছাড়া চিটাগাং ড্রাইডক লিমিটেড পরিচালিত নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে একই সময়ে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭১ টিইইউএস কনটেইনার এবং ২৫৩টি জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব সূচক প্রমাণ করছে- চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল ও কার্যকর হচ্ছে। বেড়েছে ব্যবহারকারীদের সুবিধাও।
