স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা সন্ত্রাসের প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এখানে সন্ত্রাসীদের আড্ডা ও আধুনিক হাতিয়ার ব্যবহারের প্রবণতা বেড়ে গেছে। তাই সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে নরসিংদী জেলা কারাগার ও পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, টেঁটা এখন আপডেট হয়ে মারাত্মক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। এসব অস্ত্রধারীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি সতর্ক করেন।
২০২৪ সালের ১৯ জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগারে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, জেলখানায় আগুন দেওয়ার পর সব কয়েদি পালিয়ে যায় এবং অস্ত্র লুট হয়। পালিয়ে যাওয়া অনেক কয়েদি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছে এবং অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছে। লুট হওয়া অস্ত্রের বড় অংশ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, জেলখানায় আটক অধিকাংশ বন্দিই মাদক মামলার আসামি। মাদক নির্মূলে আরও শক্তিশালী উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং মাদক মামলার বন্দিদের জন্য বিশেষ কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে। পুলিশের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাদের প্রশিক্ষণের মান উন্নত করার উদ্যোগও চলছে।
পরিদর্শনে তার সঙ্গে ছিলেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল-ফারুকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এর আগে সকালে তিনি নরসিংদী পুলিশ লাইনসের ক্যান্টিন, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থাপনা এবং পরে জেলা কারাগারের পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।


